বিভিন্ন প্রজাতির আমের নামকরণের ইতিহাস জানুন

আমের মরশুম শেষ, যদিও দোফলা আম রয়েছে, বাজারে মালদহের আমরে চাহিদাও কিন্তু কম নয়। তবে বঙ্গে আমের সিজনের জন্য কিন্তু সেই এক বছরের অপেক্ষা। বৈশাখ থেকে আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময়। চৈত্রে কাল বৈশাখীর পর আমের মুকুলের গন্ধ আর বৈশাখে কাঁচা আম। বঙ্গবাসীর মনে যেন স্ফূর্তির শেষ নেই। গ্রামে-গঞ্জে অনেকেরই আমগাছ থাকে। বিভিন্ন প্রজাতিরও আম হয়।। হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোলাপখাস ইত্যাদি। আমের ভূমি মালদা। আই এই সব নামের পিছনে কিন্তু বেশ গল্প রয়েছে। আসুন দেখা যাক কি সেগুলি-

Langrs Msango
Source

ল্যাংড়া

এর শুরু হয়েছিল বহুকাল আগে। প্রায় মোগল যুগে। দ্বারভাঙায় চাষ শুরু হলেও সেভাবে পরিচিতি লাভ করেনি। এক ফকির এই আমের চাষ শুরু করেছিলেন। তখনও কেউ নাম জানত না। তাঁর পায়ের সমস্যা ছিল বলেই আমের নাম হয় ল্যাংড়া আম।

Source

ফজলি

ঊনবিংশ শতকে গৌড়ের এক জায়গায় একটি বৃদ্ধা থাকতেন। তাঁর কুটিরে এই আমের গাছ ছিল। কিন্তু বৃদ্ধাও আমের নাম জানতেন না। তাঁর নাম ছিল ফজলি বিবি। একদিন তাঁর বাড়ির সামনে কালেক্টর রাজভেশন একটি শিবির করেছিলেন। বৃদ্ধা ফজলি আম নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে আম খেয়ে কালেক্টর খুব প্রশংসা করেন। তিনি ইংরাজীতে আমের নাম জিজ্ঞাসা করলে ফজলি দেবী তা না বুঝতে পেরে নিজের নাম বলে দেন। সেই থেকে এই আমের নাম হয়েছে ফজলি আম।

Source

গোপালভোগ

কথাতেই আছে বঙ্গের মালদা আমের জন্য বিখ্যাত। ইংরেজবাজারের গোপাল নামে এক ব্যক্তি এই আমের চাষ করেছিলেন বলেই এই আমের নামে গোপাল ভোগ।

Source

গোলাপখাস

গোলাপ ফুলের মতো গন্ধ থাকায় এই আমের নামে গোলাপখাস।

Source

গুটি

এটি ছোট এক ধরনের আম। এক চাষী আমের আঁটি খেয়ে নিজের উঠোনে ফেলেছিলেন। সেই আঁটি থেকেই গাছটি হয়েছিল বলে নাম হয়েছে গুটি।