‘গীতার শ্লোক পড়ে গলা কা;টা!’ হিন্দু ধর্মকে অপমান করায় রাজ চক্রবর্তীর ছবি বয়কটের ডাক

হিন্দু ধর্মের অপমানের অভিযোগে বলিউডের তারকাদের ছবি বয়কট (Boycott) করার ডাক দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার একই বিতর্ক দেখা দিল এই বাংলাতেও। বাংলার পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’কে (Dharmajuddha) কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন হিন্দু ধর্মের মানুষেরা। তাদের দাবি এই ছবিতে নাকি হিন্দু ধর্মের অবমাননা দেখানো হয়েছে। হিন্দুদের পবিত্র গীতাকে অপমান করা হয়েছে।

সবেমাত্র রাজের নতুন ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ এর টিজার রিলিজ হয়েছে। পরিচালকের দাবী ধর্মের নাম নিয়ে সমাজে যে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বানানো এই ছবি। এই ছোট্ট ভিডিও ক্লিপিংস দেখেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা জল্পনা। এমনকি এই ছবিতে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কেউ কেউ আবার বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এরকমই একটি পোস্ট নজরে পড়েছিল পরিচালকের। তিনি সেই পোস্ট উদ্ধৃত করে দিয়েছেন জবাব। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে দেখা যাচ্ছে জনৈক ব্যক্তি রাজ চক্রবর্তীর ধর্মযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন, এখানে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার শ্লোক পড়ে মানুষের গলা কাটা দেখানো হয়েছে। যেটা হিন্দু ধর্মের কোথাও উল্লেখ নেই। ওই পোস্টে লেখা রয়েছে ‘হিন্দু বিরোধী’ ছবি বয়কট করুন।

এটা দেখে বেজায় রেগে গিয়েছেন রাজ। তিনি পাল্টা জবাব দিয়েছেন, “ধর্মযুদ্ধে কোথাও গলা কাটা তো দূরে থাক, একফোঁটা রক্তপাত দেখানো হয়নি। আর তোমরা সিনেমাটা না দেখেই বয়কটের ডাক দিচ্ছ? তোমরা কি ছাগল না পাগল?” তার ছবি নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজের সাফ জবাব, ‘‘ধর্ম যুদ্ধে কোন ধর্মকে ছোট করা হয়নি আগে ধর্মযুদ্ধ দেখুন তারপর ঠিক করুন ছবিটি বয়কট করবেন কিনা।”

এরপর একটি লাইভ ভিডিওতে এসে রাজ আরও বলেছেন, “ধর্ম নিয়ে আমরা যে লড়াই করি তাতে ক্ষতিটা কার হচ্ছে? আমার দেশের। আমার মায়ের। এই গল্প বলা হয়েছে। হ্যাঁ, এই গল্প বলেছি আমি। ২০১৯ সালে ছবিটি বানানো হয়েছে। তখন আমি রাজনীতিতে আসিনি। আমি জানি আমার ধর্মকে কিভাবে রক্ষা করতে হয় এবং অপর ধর্মকে কিভাবে সম্মান করতে হয়। তাই আমাকে শেখাতে আসবেন না।”

রাজ চক্রবর্তীর এই ছবিতে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পার্ণো মিত্র, সোহম চক্রবর্তী এবং সপ্তর্ষি মৌলিক। ছবির টিজার মুক্তি পেতে না পেতেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা তরজা। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ছবি বয়কটের কথাও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অবশেষে তাই মুখ খুললেন পরিচালক।