বলিউডের কন্ট্রভার্সিটি কুইন শুধু একা কঙ্গনা রানাওয়াত নন, তাকে টক্কর দেওয়ার জন্য নেহা ধুপিয়াও (Neha Dhupia) আছেন। ইতিপূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খুলে বলিউডের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন নেহা। এবার ফের বিস্ফোরক তিনি। এর আগে যেমন তিনি একাধিকবার বলিউডের গোপন কেচ্ছা ফাঁস করেছিলেন, এবারেও বলিউডের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আবার হইচই ফেলে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেহা ধুপিয়া কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। তবে তিনি নায়িকা হিসেবে সাফল্য পাননি কোনওদিনই। ২০০২ সালে মডেলিং দিয়ে শুরু হয় তার কেরিয়ার। ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন তিনি। তখন তার জন্য বলিউডের দরজা খুলে যায়। ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ থেকে অভিনয় জগতে যাত্রা, সব সুযোগ আসে তার হাতে। কিন্তু তেমন সাফল্য জোটেনি কপালে।
অভিনয় দিয়ে নজর কাড়তে পারেননি তো কি হয়েছে? নেহা ধুপিয়া বিখ্যাত তার বিতর্কিত মন্তব্যের দরুণ। ‘রোডিজ’ অডিশনের প্রতিযোগীদের ব্যান্ড বাজানো থেকে শুরু করে বলিউডের গোপন কেচ্ছা ফাঁস করে তিনি বারবার লাইম-লাইট নিজের দিকে করে নিয়েছেন। এবার যেমন তার আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেহা একবার বলেছিলেন, “বলিউডে কেবল দুটি জিনিস বিক্রি হয়। এক শাহরুখ খান এবং দুই নম্বর জিনিস হল সেক্স।” তার এই মন্তব্য আবারও তাকে লাইম লাইটে নিয়ে আসে। তার মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এমনিতেই এখন বয়কট বিতর্কে বলিউডের দিন বিশেষ ভাল যাচ্ছে না। তার উপর আবার নেহার মন্তব্য আগুনের মত ছড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য এরকম বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য নেহাকেও কিন্তু বহুবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ‘রোডিজ’ মেন্টর হিসেবে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশাল বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে। অডিশনে এক প্রতিযোগী জানান তার প্রেমিকা তাকে চিট করেছে। সেই কারণে তিনি নাকি তার প্রেমিকাকে থাপ্পড় মারেন। এই কথা শুনে নেহা তো পুরো চোটে লাল হয়ে যান। তার কথায় ওই ব্যক্তি তার প্রেমিকাকে চড় মারতে পারেন না, কারণ হিসেবে তিনি যে যুক্তি দেখিয়েছিলেন তা তাকেই উল্টে হাসির খোরাক বানিয়ে দেয়।
নেহার মতে মেয়েটি যা কিছু করেছিল সেটা ছিল তার নিজের সিদ্ধান্ত। মেয়েটি নিশ্চয়ই তার প্রেমিকের সঙ্গে খুশি ছিল না। তাই আরও পাঁচজনের সঙ্গে সম্পর্কে গিয়েছিল সে! এটা সম্পূর্ণ ওই ব্যক্তিরই ব্যর্থতা। নেহা বলেন ‘ইটস হার চয়েস’, তার জন্য কেউ তার গায়ে হাত তুলতে পারেন না! বলাবাহুল্য এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতে নেহাকে নিয়ে যে চরম ট্রোলিং হয় তাতে নেহার অবস্থা হয়েছিল ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’!
