মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছেন এই সেলিব্রিটিরা

বলিউড সেলিব্রিটিদের মধ্যে এমন বহু তারকা রয়েছেন, যাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। তবে ক্যান্সারের সামনে হার মানেননি তারা। বরং শরীর এবং মনের সর্বশক্তি দিয়ে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে টিকে রয়েছেন। ক্যান্সার কখনোই রাহুর মতো বলিউডের এই তারকাদের গ্রাস করে ফেলতে পারেনি। এদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী অনুপ্রেরণা দেবে আপনাকেও।

মনীষা কৈরালা (Manisha Koirala) : নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রাজত্ব করতেন যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম নাম হল মনীষা কৈরালা। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তার শরীরে ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে। নিজ শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধার খবর পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে বাস্তব বড়ো কঠিন। সেই কঠিন বাস্তবকে স্বীকার করে নিয়েই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মনীষা।

   

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন মনীষা। ক্যান্সার সারিয়ে উঠতে তাঁর মাত্র এক বছর সময় লেগেছে। বর্তমানে ক্যান্সার সম্পর্কে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মনীষা।

অনুরাগ বসু (Anurag Basu) : ২০০৪ সালে তাঁর শরীরে প্রোমায়েলিটিক লিউকেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সারে বিরুদ্ধে তিন-তিনটে বছর অবিরাম লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন অনুরাগ। জীবন যুদ্ধে তিনিও হার মানেননি। হাসপাতালের বেডে শুয়েই “তুম সা নেহি দেখা” সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তিনি। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়লাভ করার পর অনুরাগ নিজে জানিয়েছিলেন, নিজ সন্তানের মুখ দেখার তীব্র বাসনাই তাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি যুগিয়েছে।

যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) : ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়ার এই কিংবদন্তীর বাম ফুসফুসে বাসা বেঁধেছিল একটি টিউমার। যে কারণে ২০১১ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার সময় বারংবার রক্ত বমি করছিলেন তিনি। তার শরীরে শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা দিয়েছিল। তিনিও মাত্র এক বছরের মধ্যেই ক্যান্সারকে প্রতিহত করতে পেরেছিলেন।

বারবারা মোরি (Barbara Mori) : স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বারবারাও। অপারেশন মারফত তিনি ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এখন আর তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয় না। ক্যানসারকে প্রতিহত করতে পেরেছেন তিনি।

লিসা রে (Lisa Ray) : বলিউডের এই জনপ্রিয় কানাডিয়ান অভিনেত্রীর শরীরেও বাসা বেঁধেছিল ব্লাড ক্যান্সার। ২০০৯ সালে যখন তার শরীরে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে, তখন থেকেই ক্যানসারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই শুরু হয়। মনীষার মতো তিনিও ক্যানসারের বিরুদ্ধে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান। তিনি ভারতে একটি ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন।

মুমতাজ (Mumtaz) : সত্তরের দশকের এই অভিনেত্রী ৫৪ বছর বয়সে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনিও কখনো হার স্বীকার করেননি। এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “জীবনে কখনোই সহজে হার স্বীকার করে নিই না আমি। মৃত্যুকেও আমার সঙ্গে লড়াই করতে হবে।”