ভারতজুড়ে করোনার ত্রাস। ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। ভারতের মতো জনবহুল দেশে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়লে তার পরবর্তী পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রাথমিক পর্যায়েই ভারতে লকডাউন ডাকেন মোদী। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সাথে জড়িত পেশায় যারা আছেন তারা বাদে বাকি সকলেই গৃহবন্দী। লকডাউন ঘোষণা করতেই মাথায় হাত পড়ে যায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের। প্রান্তিকি মানুষদের কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যকেজ ঘোষনা করেন। কথামতো এপ্রিল মাস থেকেই সেই অর্থ প্রদান শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটির বেশি মানুষকে ২৮,২৫৬ কোটি টাকা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
• প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনা :- অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনার আওতায় সরকার মোট ২৮,২৫৬ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী-কিষানের প্রথম কিস্তির টাকা বাবদ মোট ১৩,৮৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনার আওতায় মোট ৮ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা করে মোট ৬.৯৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মোট ৩০ কোটির বেশি মানুষকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
• জন ধন যোজনাঃ- অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে জন ধন যোজনার আওতায় প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জন ধন অ্যাকাউন্ট গুলিতে মোট ৯,৯৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ১৪০০ কোটি টাকা প্রদান করে হয়েছে প্রায় ২.২ কোটি বৃদ্ধা,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের। এছাড়াও জন ধন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করেছেন কেন্দ্র সরকার।
• নির্মান শ্রমিকদের জন্যঃ- নির্মান শ্রমিকদের আওতায় শ্রমিকদের মোট ৩,০৬৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিচালিত প্রকল্প বিল্ডিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ফান্ড থেকে ২.১ কোটি নির্মান শ্রমিকদেরীই অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
• খাদ্যশস্য ও গ্যাসঃ– ৮০ কোটি মানুষকে মাথা পিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য জোগান দেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্র সরকার। ২ কোটি মানুষকে ইতিমধ্যে কোনোরকম অর্থ ছাড়াই রেশন প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এর আগেই বলেন, আগামী তিন মাস উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় ৮.৩ কোটি মহিলাদের কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার দেবেন।এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বিমা দেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্র সরকার।