

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইদানিং সেলিব্রিটিদের অশ্লীল কটাক্ষ করার মাত্রা যেন দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বিশেষত নায়িকাদের বয়স তুলে, পোশাক কিংবা চেহারা নিয়ে খোঁটা দেওয়ার প্রবণতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও ছবি কিংবা ভিডিও পোস্ট করলেই নোংরা নোংরা মন্তব্যে ভরে যায় স্বস্তিকা মুখার্জীর (Swastika Mukherjee) কমেন্ট বক্স। প্রিয় বান্ধবীকে কটাক্ষ করায় এবার রীতিমত ধুয়ে দিলেন মীর আফসার আলী (Mir Afsar Ali)।
এই বছরে ডিসেম্বর মাসে নেট ফিক্সে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘কালা’ ছবিটি মুক্তি পাবে। সেই ছবির প্রচারের জন্য ছবির কিছু দৃশ্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। স্বস্তিকার সেই পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে জনৈক নেটিজেন তাকে অপমান করে বসেন। তিনি লেখেন স্বস্তিকার মুখে বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে।
এমন কমেন্ট পেয়ে স্বস্তিকা পাল্টা প্রশ্ন করেন ওই ব্যক্তিকে, ‘‘নাহলে কি আসবে?” এদিকে স্বস্তিকা এবং ওই মন্তব্যকারীর কথোপকথনের মাঝে ঢুকে পড়েন মীর আফসার আলী। তিনি বান্ধবীর পোস্টে কুমন্তব্য করতে দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। পাল্টা ওই ব্যক্তিকে অশ্লীল ভাষায় আরও কড়া জবাব দেন তিনি। মীরের এমন ভাষার ব্যবহার দেখে অবাক হয়েছেন তার ভক্তরা।
উল্লেখ্য, স্বস্তিকা এবং মীরের বন্ধুত্ব বহু পুরনো। এই দুই অভিনেতা ‘মাইকেল’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। সেই থেকেই তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলে পরিচালক অভিজিৎ শ্রীদাসের ‘বিজয়ার পরে’ ছবিতেও একসঙ্গে অভিনয় করেন দুজনে। গোটা টলিউড তাদের গভীর বন্ধুত্বের কথা জানে। তাই স্বস্তিকাকে এমনভাবে বিঁধতে চেয়ে কার্যত মীরের পাল্টা জবাব থেকে পালাবার পথ পাচ্ছেন না ওই নেটিজেন।
মীরের এই পাল্টা জবাব তার ভক্তদের একাংশ বেশ মজা পেয়েছেন। এরকম উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য কেউ কেউ তাকে সমর্থনও করছেন। তবে মীরের ভক্তদের একাংশ প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার ব্যবহার থেকে তাকে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, স্বস্তিকাকে এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে নানাভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছেন কিছু মানুষ। কিন্তু অভিনেত্রী যোগ্য জবাবে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করেছেন প্রতিবার।
‘বিজয়ার পরে’ ছবি মুক্তির আগে স্বস্তিকা এবং মীরের সম্পর্ক নিয়ে টলিউডে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। ঘনঘন ছবি পোস্ট করতে দেখে এবং বাইরে ঘুরতে যেতে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন বন্ধুত্ব হয়তো নতুন কোনও মোড় নিয়েছে। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তারা স্বীকার করে নেন এগুলো আসলে ছিল ছবির পাবলিসিটি স্টান্ট। তারা ঘনঘন ছবি পোস্ট করছেন যাতে আরও বেশি মানুষ তাদের নিয়ে চর্চা করেন।