করোনা ভাইরাসের(Coronavirus) প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথেই একটাই প্রশ্ন ঘুরে ঘুরে বার বার সামনে আসছে, কাদের কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী পুরুষ না মহিলা? উত্তর খুঁজতে নিত্যদিন চলছে গবেষণা (Reasearch)। বিবাহিত পুরুষ নাকি বয়স্ক, কাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য।
গবেষণায় দেখা গেল মহিলাদের থেকে পুরুষদের দেহেই দ্রুত বেশী পরিমাণে তৈরি হচ্ছে COVID-19 অ্যান্টিবডি(Antibody)। অর্থাৎ পুরুষদের থেকে মহিলাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী!
সম্প্রতি পর্তুগিজ গবেষকরা পর্তুগালের Medicina Molecular Joao Lobo Antunes-এর তরফে এই গবেষণা করেছে। ইউরোপীয় জার্নাল ‘ইমিউনোলজি (Immunology)’তে প্রকাশিত হয়েছে এই নতুন গবেষণার কথা।
গবেষণার জন্য তিনশোরও বেশি কোভিড হাসপাতালের করোনা রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরের অ্যান্টিবডির লেভেল টেস্ট করা হয়। টেস্ট হয় ২০০-রও বেশি করোনাজয়ীদের উপরও।
দীর্ঘ ৬ মাস গবেষণার পর দেখা যায়, প্রথম তিন সপ্তাহ পর শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যাঁদের শরীরে যত প্রবলভাবে করোনা থাবা বসিয়েছিল, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ তত বেশি। একইসঙ্গে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশের শরীরেই সাত মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব রয়েছে।
এই গবেষণায় দেখা গেছে করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সুস্থ হওয়ার ৭ মাস পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ব্যাক্তিদের শরীরেই মিলেছে অ্যান্টিবডি। আরও জানা যাচ্ছে, শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপাদন বয়স নির্ভর নয় বরং এটি নির্ভর করছে কার শরীরে কোরোনা ভাইরাসের কতটা প্রভাব পড়েছে এবং কার শরীরে অন্যান্য কি অসুখ আছে তার ওপর।
দেখা যাচ্ছে প্রথম ৩ সপ্তাহ পরেই তাদের শরীরে উল্ল্যেখযোগ্য ভাবে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে যার শরীরে কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব যত বেশী হয়েছিল তার শরীরে তত বেশী অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং ৯০ শতাংশের শরীরেই ৭ মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি থাকছে।
এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর গবেষকরা দেখেন যে এই অ্যান্টিবডির কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কতটা।গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হচ্ছে। অর্থাৎ কোরোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশী।
আরও পড়ুন : শারীরে যে যে রোগ থাকলে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি
এই গবেষণার লেখক মার্ক জানান যে আমাদের শরীরে অবস্থিত স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোভিড-১৯-কে চিহ্নিত করে শরীরে তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলে। এই অ্যান্টিবডি শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।