করোনার কলার টিউনে সতর্কবার্তা দেওয়া মহিলা কণ্ঠস্বরের নেপথ্যে যিনি

বিশ্বের বুকে আচমকাই নেমে আসে করোনা বিপর্যয়। একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস যে বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করতে পারে তা সকলের কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল। সময়ের সাথে সাথে বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কোভিড-১৯ । এই ভাইরাস সংক্রমনের পদ্ধতি স্তব্ধ করে দেয় জনজীবন।

প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী হয়ে পড়ে ‘সামাজিক দূরত্ব’,‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজার’। এই সবগুলি খানিক পরিচিত হলেও ‘কোয়ারেন্টাইন’ ‘আইসোলেশন’ এর মতো শব্দ ভারতবর্ষের বহুলাংশে অপরিচিত। শব্দগুলির ভূমিকা বা কার্যকারিতা কি তা নিয়েও শুরু হয় ধোঁয়াশা।

কিন্তু করোনা তো আর এইসব মানবে না। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে প্রচার। প্রথম দিকে টেলিভিশন রেডিও। কিন্তু তারপরই শুরু হয় ফোনের মাধ্যমে প্রচার। যে কাউকে ফোন করলেই শোনা যায় মহিলা কন্ঠে একজন কোভিড সংক্রান্ত সচেতনতাবানী দিচ্ছেন।

 

কোভিডের সাথে লড়তে আমাদের কি কর্তব্য পালনীয়। করোনার উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে কোথায় সাহায্য পাওয়া যাবে এই সমস্ত বিবরণ শোনা যায়। ফোন করে এসব শুনে অনেকে বিরক্ত হলেও অনেকে আবার এই সচেতনতাবানী শুনে বেশ খুশি। সকলেরই প্রশ্ন এই কন্ঠের পিছনে কে রয়েছেন।

এই কন্ঠের নেপথ্যে রয়েছেন জসলীন ভল্লার। একজন পেশাদার ভয়েস ওভার আর্টিস্ট। দিল্লি পুলিশ, দিল্লি মেট্রো, এয়ারটেলের হয়েও তিনি ভয়েস ওভারের কাজ করেছেন। কিন্তু করোনা সতর্কতা ভয়েস ওভারের কাজ তিনি কিভাবে পেলেন? সম্প্রতি জসলীন ভল্লার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি এক পরিচালকের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হয়ে এই কাজ করার সুযোগ পান। তখন অবশ্য তিনি জানতেন না ফোন করলেই তাঁর কন্ঠ শোনা যাবে।

জসলীন জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁকে বলেন, বাড়িতে যাঁর গলা সারাদিন শুনতে হয়, এখন ফোন করলেও তাঁর গলা শুনতে হচ্ছে। এমনকি তিনি কাউকে ফোন করলে নিজেই নিজেই সতর্কতা শুনতে পান।

তার বলেন এই সাবধানবানী শুনে মানুষ কিছুটা হলেও সতর্ক হবে। তাই তিনি কাজটি করতে পেরে বেশ খুশি। মেয়ের কাজে খুশি জসলীনের বাড়ির সদস্যরাও। খুশি ভারতের মানুষও। সাধারণ মানুষ বলছেন, এইভাবে প্রচারে তাঁরা বেশ কিছু তথ্য জানতে পারছেন যা করোনা পরিস্থিতিতে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ও সকলের জানা উচিৎ।