ফাঁস হয়ে গেল কিরণ দত্তের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট, নম্বর দেখে চক্ষুচড়কগাছ নেটিজেনদের

ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও মাঝপথে এই ফিল্ড ছেড়ে ইউটিউব (YouTube) প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়েন বাঙালি ইউটিউবার কিরণ দত্ত (Kiran Dutta)। আজ তিনি বাংলার এক নম্বর ইউটিউবার। তিনি বহু বাঙালি ইউটিউবারের অনুপ্রেরণা। মেইন লাইনের পড়াশোনা ছেড়ে ইউটিউবকেই নিজের পেশা বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। আজ তিনি এই ফিল্ডে সফল। ইউটিউবার কিরণ দত্তের মাধ্যমিক (Secondary) এবং উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) রেজাল্ট (Result) দেখলে বেশ বোঝা যায় স্কুল জীবনে তিনি কতটা মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

সদ্য মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। চারিদিকে বয়ে যাচ্ছে নম্বরের বন্যা। মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে চরম উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা মন্তব্য, টপারদের সাক্ষাৎকার, বহু মতামত উঠে আসছে। এমতাবস্থায় নিজের পুরনো দিনের একটি পোস্ট আবার তুলে ধরে মুখ খুললেন কিরণ দত্ত। এই পোস্টটি আসলে ছিল তার মাধ্যমিকের রেজাল্ট যার ছবি তিনি আপলোড করেছিলেন বহু আগে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের মাধ্যমিকের রেজাল্টের ছবি তুলে ধরে কিরণ দত্ত দিলেন এক বিশেষ বার্তা। তিনি এদিন তার পোস্টে লিখেছেন, মাধ্যমিকের ফলাফল কারও জীবন নির্ধারণ করতে পারে না। তিনি এই কথা বিশ্বাস করেন। কারণ পরবর্তী দিনে এই রেজাল্টের আর কোনও গুরুত্ব থাকে না। তবে তিনি মনে করেন রেজাল্ট নয়, প্রথাগত শিক্ষা থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। এটাই নানাভাবে সাহায্য করতে পারে।

কিরণ দত্তের রেজাল্ট দেখে কার্যত চক্ষুচড়কগাছ হয়েছে নেটিজেনদের। মাধ্যমিকের পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে দারুণ ফলাফল করেছিলেন তিনি। A+, AA এর কমে কোনও গ্রেড নেই তার। তার মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে নেট মাধ্যমে প্রশংসার ঝড় বইছে। কেউ লিখছেন, ‘ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট’! কেউ লিখছেন, ‘তুমি জিনিয়াস’! মাধ্যমিকের রেজাল্টের পর উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের ছবিকাও কমেন্ট বক্সে আপলোড করেছেন তিনি।

মাধ্যমিকের মত না হলেও উচ্চমাধ্যমিকেও দারুণ ফলাফল করেছিলেন কিরণ। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে পেয়েছিলেন স্টারমার্কস। তবে কমেন্টে তিনি উল্লেখ করেছেন যদি তার সাহস থাকত তাহলে তিনি আর্টস নিয়ে পড়তেন। বাবা-মা তাকে সায়েন্স নেওয়ার জন্য অবশ্য জোর করেননি। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই নিয়েছিলেন। তবে ইতিহাস নিয়ে পড়তে না পারার আফসোস তার সারা জীবন থেকে যাবে। ফিজিক্সের থেকেও ইতিহাস তার আজও বেশি প্রিয়। তাই এখনও ইতিহাস নিয়ে চর্চা তিনি ছাড়েননি।