‘মহানায়ক’ সোহম, ‘মহানায়িকা’ নুসরাত, ‘স্বার্থনীতি’ নিয়ে দুই অভিনেতাকে ধুয়ে দিলেন মানসী সিনহা

রাজ্যজুড়ে এখন আর রাজনীতি নয়, চলছে ‘স্বার্থনীতি’! এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন টলিউড অভিনেত্রী মানসী সিনহা (Manasi Sinha)। কেন হঠাৎ বিস্ফোরক হলেন টলিপাড়ার শান্তশিষ্ট মানুষটা? মানসী সিনহা সাধারণত তো কারও সাতে-পাঁচে থাকেন। অথচ বঙ্গ সম্মাননা মঞ্চে ‘মহানায়ক’ সম্মান বিতরণ দেখে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তিনিও।

এই বছরের বঙ্গ সম্মাননা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নিয়ে শুধু বিনোদনের দুনিয়া নয়, গোটা সোশ্যাল মিডিয়া একাধিকবার তোলপাড় হয়েছে। বঙ্গ সম্মান বঙ্গ ভূষণ, বঙ্গ বিভূষণ, মহানায়ক সম্মান পেয়েছেন সোহম চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, দেব, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদের মত তারকারা। এর মধ্যে সোহম এবং নুসরাতের মহানায়ক সম্মান পাওয়া নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন মানসী সিনহা। জনৈক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বঙ্গসম্মান সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন তিনি আদতে এই মঞ্চকে পুরস্কারের মঞ্চ বলে মনেই করেন না। তার কথায়, রাজ্যে আরও তাবড় তাবড় অভিনেতারা থাকা সত্ত্বেও যখন নুসরাত-সোহমের হাতে পুরস্কার উঠল তখন মঞ্চের উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেছেন, নুসরাত এবং সোহম দুজনেই তার খুব প্রিয়। তারা ভাল অভিনয়ও করেন। তবে মানসী মনে করেন মহানায়ক সম্মান পাওয়ার যোগ্য ছিলেন টলিউডের অন্যান্য তারকারা। তার কথায়, রাজ্যে রাজনীতি বলে আর কিছুই নেই। যা আছে সেটা স্বার্থনীতি।

সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তার এতদিন কোনও ক্ষোভ ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী তার বড় দিদির মত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেও ভাল লাগত তার। কিন্তু এখন থেকে সেটা হয়তো আর লাগবে না, বলেছেন মানসী। উল্লেখ্য, বঙ্গ সম্মাননা মঞ্চে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন নেটিজেনরা। মুখ খুলেছেন বিনোদনের দুনিয়ার তারকারাও।

নেটিজেনরা নেট মাধ্যমে প্রশ্ন তুলছিলেন সোহম, নুসরাত যদি মহানায়ক এবং মহানায়িকা সম্মান পেতে পারেন তাহলে জিৎ কেন বাদ পড়লেন? জিৎ তো নুসরাতের থেকে বেশি দিন ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন এবং অনেক ভাল ছবিও উপহার দিয়েছেন। ভক্তরা এও বলছেন জিৎ যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন তাই তাকে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি রাজ্য সরকার।