

করোনা আবহের মধ্যেই এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত পরিস্থিতির আবির্ভাব। করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। আর যে কারণে তারা সোমবার বাংলার সাত জেলার নাম করে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ঘোষণা করে ৮ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণে আসবে বলে। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের পরেই বেজায় চটে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেন ট্যুইটারে। শুধু ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া দেওয়াই নয়, পাশাপাশি তিনি একটি চিঠিও দিয়েছেন কেন্দ্র সরকারকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ট্যুইটারে লেখেন, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের সমস্ত রকম সহযোগিতা ও পরামর্শকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন (২০০৫)-এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, এ বিষয়ে তারা স্পষ্ট করে জানান। আর তা না হলে কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই এই পদক্ষেপের সঙ্গে এগোতে পারবে না রাজ্য। কারণ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
We welcome all constructive support & suggestions, especially from the Central Govt in negating the #Covid19 crisis. However, the basis on which Centre is proposing to deploy IMCTs in select districts across India including few in WB under Disaster Mgmt Act 2005 is unclear.(1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 20, 2020
We welcome all constructive support & suggestions, especially from the Central Govt in negating the #Covid19 crisis. However, the basis on which Centre is proposing to deploy IMCTs in select districts across India including few in WB under Disaster Mgmt Act 2005 is unclear.(1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 20, 2020
অন্যদিকে কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কোনরকম অনুমতি না নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোনের আগেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্র যা কাজ করে দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত ভালো। কিন্তু রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্র বাহিনী পাঠানো প্রটোকলকে ভাঙ্গা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের করোনা পরিস্থিতি গুরুতর বলে জানানো হয়। আর এমনটা জানানোর পরেই বলা হয় ৮ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় আন্তঃরাজ্য পর্যবেক্ষক দল এসে এই ৭ জায়গার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান কেমন, মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে কিনা, রাস্তায় লোকজনের যাতায়াত কতটা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার বিষষয়গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন।