
ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভোটের দিনক্ষণ। শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই গুটি সাজাতে শুরু করেছে। কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে প্রার্থী তালিকা নিয়ে। মনে করা হচ্ছে আজ প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ও সামনে এলো এখনো পর্যন্ত কোনো দলই তাদের প্রার্থী তালিকা দেয়নি।
স্বভাবতই কোন প্রার্থী কোথা থেকে দাঁড়াতে পারে সেই নিয়ে চলছে চরম জল্পনা। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াতে চলেছেন সে কথা তিনি আগেই নিজেই জানিয়েছিলেন। জবাবে শুভেন্দু বলেছিলেন “৫০ হাজার ভোটে হারাবো মমতাকে”।নন্দীগ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হলে আগামী ১১ মার্চ শিবরাত্রির দিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নন্দীগ্রাম নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতীত্ব শুভেন্দু নিজে দাবি করে আছেন। মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবার না থাকলে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারত না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে শাসক দলও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। মমতার সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে দলনেত্রীর নাম দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন।
বিজেপির তরফে অবশ্য এখনও নন্দীগ্রামে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দিলীপ ঘোষ শুভেন্দুর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। মঙ্গলবার বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাংবাদিক বৈঠকের সময় নন্দীগ্রামে প্রার্থীকে হবেন এই প্রশ্ন উঠলে দিলীপ ঘোষ জানান, “নন্দীগ্রাম আসনের জন্য বিবেচনায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীই নাম। তবে এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত নয়।” অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী হতে পারেন।
একুশের নির্বাচনে হটস্পট নন্দীগ্রাম একথা অনস্বীকার্য। নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি যে প্রার্থী হচ্ছেন সে কথা তিনি আগে নিজেই জানিয়েছেন। সেই কারণে নন্দীগ্রামের ভোট শাসক দলের কাছে এবছর প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার অনেকেই বলছেন শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামে আটকে রাখতে শাসকদলের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চাল।
আরও পড়ুন : কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করলে বিজেপির লাভ হবে, রইলো তালিকা
আর এমনটা যদি হয় তাহলে নন্দীগ্রামের লড়াইটা বেশ রোমাঞ্চকর হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা আর অন্যদিকে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী পরিবারের প্রাধান্য। তবে যদি তারা দুজনে সম্মুখ সমরে সামিল হন তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়েও বেশ উৎসাহ যোগাচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন : মমতা কি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন, জ্যোতিষ গননা কী বলছে