আজ মঙ্গলবার ২০১৯ এর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন বাংলা ভাষার পরীক্ষা। আর এই বাংলা ভাষার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মাথায় নাকি বাংলা ভাষার প্রশ্ন পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে! অভিযোগ এমনটাই। যদিও সূত্রের খবর ইতিমধ্যে এ বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মালদায় বিভিন্ন জনের মোবাইলে ঘুরছিল বাংলার একটি প্রশ্নপত্র। তাতেই রটে যায় প্রথমদিনই ফাঁস হয়েছে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। তবে সেই প্রশ্নেই পরীক্ষা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত না হওয়ায় তখন শুধুই উদ্বেগ ছিল। কিন্তু বেলা তিনটের সময় পরীক্ষা শেষ হলে দেখা যায় পরীক্ষার্থীদের হাতেও সেই একই তো প্রশ্নপত্র! তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা।
মালদাতেই প্রথম প্রশ্নের ছবি বাইরে এসেছে বলে অভিযোগ। তবে মালদার ডিআই তাপস বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ, মালদাকেই নাকি প্রতি বছর টার্গেট করা হয়। তিনি বলেন, “মালদায় এ ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি খোঁজ নিয়েছি। প্রশ্ন ফাঁস হলে তা অন্য জেলা থেকে হয়েছে। এখান থেকে কিছু হয়নি।”
এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৮০। এবার ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের হার ১৩ শতাংশ বেশি। প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে শেষ রক্ষা যে হল না তা বলাই বাহুল্য৷
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ছবি জলপাইগুড়ি জেলার পরিদর্শকের মোবাইলেও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে৷ ছবি দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডি.আই. স্বপন সামন্ত। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তা প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুন ঃ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ, সমস্যায় পড়তে না চাইলে অবশ্যই পড়ুন
এমনকি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এড়াতে শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের মোবাইলও তালাবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় পর্ষদ, পরীক্ষা চলাকালীন তাদের মোবাইল থাকতে হবে আলমারির মধ্যে। সোমবারই জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরীক্ষার শেষ হওয়ার পরই মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে, কারোর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই প্রশ্নপত্রটি আসল কি না, সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে।