
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হলেও দেশের আমজনতার আর্থিক সংকট ও জীবনযাত্রার অসুবিধাকে দূর করতে ক্রমশ শিথিল করা হচ্ছে দ্বিতীয় দফার লকডাউনকে। গত ২০ এপ্রিল থেকে পর বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতা আনা হয়। এরপর আবার মঙ্গলবার নতুন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়। যে নির্দেশিকা অনুসারে আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালীন মিলছে শিথিলতা।
GoI exempts additional agricultural and forestry items, shops of educational books for students & shops of electric fans from #lockdown restrictions to fight #COVID19
MHA issues SOPs on sign-on/sign-off for Indian seafarers at Indian ports & their movement#CoronaVirus Update pic.twitter.com/QNWuVZbtJR
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) April 21, 2020
নয়া নির্দেশিকা অনুসারে যে সকল ক্ষেত্রে মিলছে ছাড় :-
১) মোবাইল রিচার্জ এবং প্রিপেড সেন্টারগুলিকে ছাড়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
২) দিন দিন তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় অর্থাৎ গ্রীষ্মকাল চলে আসাই ইলেকট্রিক সরঞ্জামের মধ্যে ফ্যান বিক্রির ক্ষেত্রে মিলেছে ছাড়।
৩) আয়ার কাজ করে থাকেন এমন মানুষেরা তাদের কাজের ক্ষেত্রে ছাড় পাচ্ছেন।
৪) পড়ুয়াদের সুবিধার্থে সমস্ত রকম পাঠ্য বইয়ের দোকান খোলার ক্ষেত্রে মিলছে ছাড়।
৫) খাদ্য সামগ্রির সাথে যুক্ত চাল কল, ডাল কল ও বেকারি (শহরাঞ্চলে) খোলার ক্ষেত্রে ছাড় মিলেছে।
৬) কৃষিকাজ, বাগান, মৌমাছি পালন ইত্যাদির ক্ষেত্রে যুক্ত গুদামগুলিকে ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও এইসব কাজের ক্ষেত্রে যুক্ত গবেষণাগারগুলিকেও ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন :- লকডাউন চললেও পশ্চিমবঙ্গে ছাড় পাওয়া যাবে এইসব কাজে
তবে মনে রাখতে হবে এসকল ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলবে সেই সকল জায়গাতেই যেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো সেভাবে ছড়ায়নি। পাশাপাশি ছাড় মিললেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সরকারের সর্তকতা বা নির্দেশিকা পালন করে চলতে হবে। এগুলি ছাড়াও এর আগে লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কৃষিক্ষেত্র, গ্রামীণ শিল্প, গ্রামীণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, গ্রামীণ বেকারি শিল্পের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন :- এশিয়ার বৃহত্তম ভাইরাস ব্যাঙ্ক চিনের কাছে কত ভাইরাস আছে জানেন
এছাড়াও মনে রাখতো হবে দোকানে থাকার সময় MASK ব্যবহার করতে হবে। একসঙ্গে অনেক কাস্টমার/বেশি ভিড় করা যাবে না। দিনে ৪-৫ বার Hand Sanitizer/Hand Wash/সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে।