কেন এভাবে মরতে হল গুনগুনকে, দর্শকদের রোষের মুখে পড়ে জবাব দিলেন লীনা গাঙ্গুলী

বাংলা ধারাবাহিকগুলি (Bengali Mega Serial) যেন দর্শকদের জীবনেরই একটা অংশ হয়ে ওঠে। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ঘিরে প্রত্যেকের মনে কাজ করে বিশেষ আবেগ। পছন্দের ধারাবাহিকের কোনও ট্রাজেডি তাই মেনে নিতে পারেন না দর্শকরা। প্রিয় নায়ক কিংবা নায়িকার মৃত্যু হলে মন খারাপ হয়ে যায় দর্শকদেরও। এখন যেমন স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘খড়কুটো’ (Khorkuto) ভক্তদের মন খুবই খারাপ হয়ে আছে।

ব্রেন টিউমার অপারেশন করাতে গিয়ে আর ফিরে এল না গুনগুন। গুনগুনের মত একটা হাসি খুশি প্রাণবন্ত মেয়ের এমন করুণ পরিণতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না দর্শকরা। এদিকে আবার ‘খড়কুটো’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসছে। তাই দর্শকরা আশা করেছিলেন হয়তো বা গুনগুনকে বাঁচিয়ে নিয়ে ধারাবাহিকের হ্যাপি এন্ডিং ঘটাবেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly)। তবে তা হল কোথায়?

সোশ্যাল মিডিয়াতে তার লেখনী নিয়ে যে চরম সমালোচনা এবং কটাক্ষ ধেয়ে আসছে তার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছে লেখিকা বলেন, “একটা ভালোলাগার চরিত্র চলে গেলে কষ্ট লাগবেই। কিন্তু লেখকেরও তো একটা ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার থাকে। তিনি যখন একটি গল্প তৈরি করেন, তখন সেখানে কোন চরিত্রের জার্নি কোথায় শেষ হবে, তা লেখকই ঠিক করবেন। লেখায় কোনও গণতন্ত্র চলে না।”

ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে গুনগুনের মৃত্যু। এদিকে গুনগুনের এই পরিণতি দেখে নেটিজেনরা লীনা গাঙ্গুলীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। গুনগুনের জন্য কেন এমন পরিণতি ভেবে রেখেছিলেন লীনা? এই প্রসঙ্গে শ্রীময়ী ধারাবাহিকের রোহিত সেনের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। দর্শকদের অতি প্রিয় এই চরিত্রটিরও অবসান মৃত্যুর মাধ্যমেই করেন লীনা।

khorkuto

গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ঝড় চলছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তার জবাব, “আমার মনে হয়েছিল, এ রকম কিছু একটা হলেই মানুষ সারা জীবন গুনগুনকে মনে রাখবেন। সেই জন্যই এটা করা। জীবন তো থেমে থাকে না। এগিয়ে চলে। আর সেটা দেখার জন্যই ধারাবাহিকের শেষ দিন অপেক্ষা করতে হবে। গল্পে একটা টুইস্ট আছে। আমার মনে হয় সেটা দেখে দর্শকের দুঃখ কিছুটা হলেও কমতে পারে”।

আসলে লীনা গাঙ্গুলী তার ধারাবাহিকের গল্পের সঙ্গে বাস্তবতার মিল রাখতে চেয়েছেন। তার কথায়, “আমরা চারপাশে অনেক দুঃখ-দুর্দশা দেখি। সেটা যেন অন্য একটা জগৎ। ধারাবাহিক ঘিরে এই আবেগ যদি মানুষের জীবনেও কিছুটা প্রতিফলিত হয়, তা হলে আমাদের সমাজটা অনেক ভালো হবে”। সেই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, “দর্শকদের জন্য একটা উপহার আছে। আমার বিশ্বাস, সেই উপহার পেয়ে তাদের মন খারাপ মুছে যাবে।” কী সেই উপহার? তা ভেঙ্গে বলেননি লেখিকা।