টিভির আগেই ফেসবুকে এসে যাচ্ছে সিরিয়াল, কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে টলিপাড়া

এখন এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দুনিয়াতে টেলিভিশনে (Bengali Telivision) আসার অনেক আগেই দেখে নেওয়া যায় ধারাবাহিকের (Bengali Mega Serial) আসন্ন পর্ব। নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন থাকলেই টেলিভিশনের সম্প্রচারের সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় না। কিন্তু কিছু কিছু ধারাবাহিকের ভক্তরা আবার এই সুযোগকে বেআইনিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে স্টুডিও পাড়াতে।

এতদিন পাইরেসি অর্থাৎ চুরির সমস্যাতে মারাত্মকভাবে ভুগছিল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। পাইরেসির চক্করে সিনেমার অভিনেতা এবং প্রযোজকেরা রীতিমত ধুঁকছেন। এবার বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতেও শুরু হয়ে গিয়েছে পাইরেসি। টেলিভিশনে আসার আগেই এখন স্মার্ট ফোনে চলে আসছে ধারাবাহিকের আসন্ন পর্ব।

Shooting During Lockdown

ওটিটিতে যে সাবস্ক্রিপশন নেওয়া থাকে তা বিকেলে বা সন্ধ্যার সময় যে এপিসোড দেখানো হয় তা সকালে কিংবা আগের দিন রাতে দেখে নেওয়া যেতে পারে। এদিকে কিছু ফেসবুক পেজ ওটিটিতে আপলোড হওয়া সেই ধারাবাহিকের পর্ব ডাউনলোড করে আগেভাগেই ফেসবুকে আপলোড করে দিচ্ছেন। বহু সংখ্যক দর্শক এভাবেই ধারাবাহিক দেখছেন।

এখন যেভাবে চুরি করে ফেসবুকে ধারাবাহিক দেখানো হচ্ছে তাতে অনেক দর্শক ওটিটিতেও সাবস্ক্রিপশন নিচ্ছেন না, আবার টিভিও দেখছেন না। যার ফলে প্রযোজকদের লোকসান হচ্ছে। বহু পরিশ্রম এবং জলের মতো টাকা খরচ করে যেখানে এক একটি এপিসোড বানানো হচ্ছে সেখানে দর্শকরা ফ্রি-তেই ধারাবাহিক দেখছেন।

Shooting During Lockdown

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন টলিউডের লেখিকা তথা প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার চরম নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি। নয়তো যারা দিনরাত পরিশ্রম করে এক একটি এপিসোড বানাচ্ছেন তারা সঠিক মূল্যায়ন পাবেন না।

লীনা গাঙ্গুলীর কথাই সহমত বাংলা টেলিভিশনের অন্যান্য কলাকুশলীরাও। এখন যে চুরি শুরু হয়েছে তা চলতে থাকলে ব্যবসার দারুণ ক্ষতি হবে। এই চুরি বন্ধ করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি তুলছেন তারা।