সঙ্গীত সাধনার সঙ্গে বিউটি পার্লারের কাজ, হুগলির মেয়ে কৃত্তিকা জিতে নিল সারেগামাপার বিচারকদের মন

জি বাংলাতে (Zee Bangla) শুরু হয়ে গিয়েছে সংগীতের মহাযুদ্ধ সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa)। প্রতিবারের মত এবারেও এই মঞ্চ থেকে উঠে আসবেন কিছু তাজা শিল্পী। সংগীতের দুনিয়া পাবে এক ঝাঁক নতুন তারকা। এই মঞ্চে আপাতত বিচারকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বাছাই করে নিচ্ছেন ফাইনাল পর্বের প্রতিযোগীদের। এক ঝাঁক প্রতিযোগীর মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছেন হুগলীর বৈদ্যবাটির মেয়ে কৃত্তিকা চক্রবর্তীও (Kritika Chakraborty)।

এই বছর সারেগামাপার নতুন সিজনে উপস্থিত রয়েছেন জোজো, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চ্যাটার্জি, মনোময় ভট্টাচার্যরা। তবে এই সিজনের সবথেকে বড় পাওনা হলো পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতি। যন্ত্রের সুরের সঙ্গে নয়, রীতিমতো খালি গলায় গান গেয়ে তার মন জয় করেই সারেগামাপার ফাইনাল পর্ব পর্যন্ত পৌঁছতে হচ্ছে প্রতিযোগীদের।

ঠিক এভাবেই প্রত্যেকটি পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন হুগলীর বৈদ্যবাটির মেয়ে কৃত্তিকা চক্রবর্তী। গানের চর্চার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের বিউটি পার্লারেও কাজ করেন তিনি। এদিন বিচারকদের সামনে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন কৃত্তিকা। তার গান শোনার পর শ্রীকান্ত আচার্য পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে বলেন, “আপনি যদি একটু কোনও টেস্ট নেন ওর জন্য”।

এরপর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী কৃত্তিকাকে প্রশ্ন করেন, “তুমি কী কী গান জানো?” যার উত্তরে কৃত্তিকা বলেন ‘যো ওয়াদা কিয়া বো নিভানা পারে গা’ গানটি গেয়ে শোনাতে পারবেন তিনি। এই গানটিই তাকে খালি গলায় গেয়ে শোনাতে বলেন পণ্ডিতজি। এই গান শুনেই তাকে ফাইনাল পর্বের জন্য মনোনীত করে নেন বিচারকরা।

KRITIKA CHAKRABORTY

কৃত্তিকার গান শেষ হলে সঞ্চালক আবির চ্যাটার্জি মজা করে বলেন তার খাটনি বাড়িয়ে দিয়েছে কৃত্তিকা। তার জন্য আবার চেয়ার আনতে যেতে হবে! কারন ততক্ষনে শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মারা তাকে ফুল নম্বর দিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে দিয়েছেন।