করোনা নিয়ে গবেষণায় এর আগেই ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সাফল্য দেখিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের জিনের সম্পূর্ণ গঠন বিশ্লেষণে গুজরাটের গবেষকরা একধাপ এগিয়ে গেছেন। GBRS সার্স কভ ২-এর জিনের সম্পূর্ণ গঠন বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। এবার কেরলের গবেষকরা করোনা নিয়ে অপর একটি গবেষণায় সাফল্য লাভ করেছেন।
কেরলের এই ইনস্টিটিউটটি এমন কিছু টেস্ট কিট তৈরি করেছেন যার ফলে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই করোনা পজিটিভ কি না সে বিষয়ে নির্ভুল রেজাল্ট পাওয়া যাবে। পাশাপাশি কম খরচে একসাথে অনেকগুলি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভবপর হবে। এই পরীক্ষার খরচ ও অনেক কম ও সাধ্যের মধ্যেই। ICMR ইতিমধ্যেই এই টেস্ট কিটগুলি অনুমোদন করেছেন। এরফলে কেরলের কয়েকটি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে এই কিট ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই টেস্ট কিটের নাম ‘Chitra GeneLamp-N’। কেরলের যে ইনস্টিটিউট এই টেস্ট কিটটি বানিয়েছেন সেই ইনস্টিটিউটের নাম শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (SCTI)। এটি ত্রিবান্দ্রামের একটি ইনস্টিটিউট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই টেস্ট কিটকে অনুমোদন দিয়েছেন।
এই টেস্ট কিট কীভাবে কাজ করবে?
গবেষকরা বলছেন এটা অনেকটা ছোটো ডিভাইসের মতো। করোনার সংক্রমণের পরীক্ষা করতে গিয়ে গলা থেকে নেওয়া নমুনা এই টেস্ট কিটে রাখলেই এটি নির্ভুল রেজাল্ট দেবে।
আরও পড়ুন :- করোনা জ্বর হয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন
My team members – who are working on the challenging project to develop a fast and cheaper early detection system for Covid19. India desperately needs such a detection system to flatten the curve at the earliest.… https://t.co/aXX2Oa5aNv
— Anoop Thekkuveettil (@AThekkuveettil) April 1, 2020
একসাথে কতগুলো পরীক্ষা করা যাবে ও কত খরচ পড়বে?
এই টেস্ট কিটে একসাথে ৩০টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা যাবে। এর খরচ খুবই কম, মাত্র হাজার টাকা। গবেষকরা আরও বলছেন যে অ্যান্ডিবডি স্ক্রিনিং টেস্টে সহজে উপসর্গগুলি চিহ্নিত করা গেলেও সংক্রমণ নিশ্চিত কিনা তা জানতে আরটি-পিসিআর টেস্ট দরকার। আর কেরলের এই টেস্ট কিটে একই সাথে দুটো টেস্টই সম্ভব তাই আরটি-পিসিআর পদ্ধতি যেহেতু এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে তাই এই একবারে পরীক্ষার রেজাল্ট হবে একদম নির্ভুল। আর কমসময়েও এটি সম্ভব।
আরও পড়ুন :- করোনা ভাইরাস যেভাবে মানুষের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্থ করে
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা স্ক্রিনিংয়ের এই বিষয়ে বলেছেন যে, “টেস্ট টেস্ট এবং টেস্ট করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হলে বারংবার টেস্ট করা প্রয়োজন।আর এই টেস্ট পদ্ধতি যত কম সময়ে যত বেশিজনের নমুনা টেস্ট করা সম্ভব তত ই দ্রুত সংক্রমণ আটকানো যাবে। অল্প সময়ে অল্প খরচে র্যাপিড টেস্টের এইরকম উন্নত একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করে নজির তৈরি করেছে কেরলের এই ইনস্টিটিউটটি।”