সেতার হাতে মায়ের গানে সঙ্গত দিল ছেলে! কৌশিকীর সব থেকে বড় প্রাপ্তিতে মুগ্ধ শ্রেয়া

ছেলে ঋষিথকে (Rishith) সঙ্গে নিয়ে এই প্রথম মঞ্চে উঠে গান গাইলেন বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তী (Kaushiki Chakraborty)। জীবনের এই পাওয়া তার কাছে সব থেকে বড় প্রাপ্তি। একটা সময় ছিল যখন তিনি তার বাবা পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গানের তালিম নিতেন। বাবার সঙ্গে গান গাইতেন। তার ছোটবেলা যেন ফিরে এলো তার ছেলের মধ্যে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন গায়িকা।

কৌশিকী চক্রবর্তী এবং পার্থসারথি দেশিকানের একমাত্র ছেলে ঋষিথ অতি অল্প বয়সেই সংগীতের অনুরাগী হয়ে উঠেছে। বাড়ির সংগীতমহলের পরিবেশ তাকে বেশ প্রভাবিত করেছে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একই মঞ্চে গান গাইতে পেরে কৌশিকী আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না সোশ্যাল মিডিয়াতে। মা-ছেলের যুগলবন্দী দেখে আরেক গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালও (Shreya Ghoshal) দিলেন আবেগঘন বার্তা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে কৌশিকী ছেলের সঙ্গে মঞ্চে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি তুলে ধরেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কখনও মায়ের সঙ্গে গান গাইছে ছোট্ট ঋষিথ। কখনও তাকে দেখা গেল সেতার বাজাতে। ছেলের মুখের দিকে সস্নেহে চেয়ে আছেন কৌশিকী, এমন দৃশ্য নেটিজেনদের মুগ্ধ করেছে।

ছবিগুলি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করে কৌশিকী ক্যাপশনে লিখলেন, “অবশেষে সেই দিন এল। জীবনের কাছ থেকে আর কিচ্ছু পাওয়ার নেই আমার। জীবনের একটা বৃত্ত যেন পরিপূর্ণ হল”। কৌশিকী আরও লিখলেন, “আমার সন্তান আমার পাশে স্টেজে বসে গান গাইল, হাসল। আমি কাঁদছিলাম। এই বিশ্ব কথা শোনে। আমার ভালোবাসাকে ভগবান আশীর্বাদ করুক”।

নেটিজেনদের নজর কেড়েছে এই ছবি এবং কৌশিকীর লেখা ক্যাপশন। এই ছবি আরেক সংগীতশিল্পী তথা সদ্য মা শ্রেয়া ঘোষালের নজর এড়ায়নি। এই পোস্টে তার নজর পড়তেই আবেগতাড়িত হয়েছেন শ্রেয়া নিজেও। তিনি কমেন্ট করেছেন, “আমি তোমার আবেগ ভীষণ ভাবে অনুভব করতে পারছি। বিশাল বড় একটা দিন। ভগবান তোমায় মঙ্গল করুন ঋষিথ। তোমার মা যিনি তোমার গুরু, তাঁকে তুমি গর্বিত করেছ। আমার সমস্ত ভালোবাসা আর আশীর্বাদ তোমার জন্য”।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Kaushiki Chakraborty (@kaushiki_sings)

কৌশিকী চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে ঋষিথ খুব ছোট বয়স থেকেই তবলা বাজাতে পারে। সঙ্গীত রয়েছে তার রক্তে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সে চর্চা করতে পছন্দ করে। আবার ছোট থেকে মায়ের কাছে সংগীতের তালিমও নিয়েছে সে। মায়ের সঙ্গে সংগীতের আসরে অংশগ্রহণ করে সে কৌশিকীর জীবনের গানের বৃত্ত সম্পূর্ণ করলো। জীবনের সবথেকে বড় প্রাপ্তি পেলেন গায়িকা।