কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan), বয়কট আর ফ্লপ ট্রেন্ডের মাঝে বলিউডের (Bollywood) এক চিলতে আশার আলো বলা যেতে পারে তাকে। ইনি এমন একজন নায়ক যাকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রতি পদে পদে লড়াই করে যেতে হয়। নিজের জায়গা ছিনিয়ে নিতে হয় মুভি মাফিয়াদের থেকে। খোদ করণ জোহরের সঙ্গে তার লড়াই, তবুও জিতেছেন কার্তিক। কারণ তিনি পাশে পেয়েছেন আমজনতাকে।
না ছিল গডফাদার, না ছিল পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, বলিউডে কার্তিক আজ যতটুকু উঠতে পেরেছেন সবটাই তার নিজের দমে। উপরন্তু কেরিয়ারে উন্নতি করার পথে জোরদার বাধা অপেক্ষা করেছিল তার জন্য। করণ জোহরের সঙ্গে বিবাদের চোটে একের পর এক ছবি হাতছাড়া হয় তার। তার পরিণতিও হতে পারত সুশান্ত সিং রাজপুতের মত। কিন্তু না, হেরে যাননি কার্তিক।
‘সোনু কি টিটু কি সুইটি’ ছবিতে অভিনয় করে কার্তিক তার জাত চিনিয়েছেন। তার অভিনীত ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ তো তাকে নতুন প্রজন্মের হার্ট থ্রব করে তোলে। এরপর ‘ভুলভুলাইয়া ২’, মন্দার বাজারেও এই ছবি ২৬৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে! সেই সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে কার্তিকের ব্র্যান্ড ভ্যালু। এখন আর কার্তিক আরিয়ানকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
এই সবটাই কার্তিকের কাছে একটা স্বপ্নের মত। কেরিয়ারে উত্থান, পতন, আবারও উত্থান, সবমিলিয়ে এই জার্নিটা ছিল বেশ কঠিন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য সহজ ছিল না। এটা বেশ কঠিন একটি যাত্রা। অবশ্যই কিছু সময় লেগেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে আমি ২০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে আমার কেরিয়ার শুরু করি। তবে সেই সময় আমার নামও কেউ জানত না।”
তিনি আরও বলেছেন, “এই যাত্রায় আমি যখনই পেছনে তাকাই তখন আমার মনে হত এতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। দুর্ভাগ্য, সৌভাগ্য সবই দেখেছি আমি। আজ আমি সত্যিই ভাল জায়গায় আছি।” এখন কার্তিকের হাতে রয়েছে পরপর কাজের সুযোগ। সৌভাগ্যের বিষয় এই যে বলিউডের বিরুদ্ধে দর্শকরা ক্ষেপে থাকলেও কার্তিককে কিন্তু মাথায় তুলে রেখেছেন তারা।
আসলে কার্তিক আরিয়ান নেপোটিজমের বিরুদ্ধে, মুভি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে একা লড়েছেন। তার হাতে এখন রয়েছে ‘আশিকি ৩’, ‘শাহজাদা’, ‘ফ্রেডি’, ‘ক্যাপ্টেন ইন্ডিয়া’, ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবিগুলি। এরমধ্যে ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবিতে কিয়ারা আদবাণীর সঙ্গে ‘ভুলভুলাইয়া ২’ এর পর দ্বিতীয়বার জুটি বাঁধছেন কার্তিক।
