ব্যবসা ছেড়ে বারে গান গাইছে বাদাম কাকু, কোথায় নামছে স্ট্যান্ডার্ড, চরম অসন্তুষ্ট নেটিজেনরা

বাদামের ঝুলি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গান গেয়ে কাঁচা বাদাম (Kacha Badam) বিক্রি করতেন বীরভূমের দুবরাজপুরের ফেরিওয়ালা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। তবে আজ আর তার তেমন দিন নেই। তিনি এখন সেলিব্রিটি। নিজের মুখেই ঘোষণা করেছিলেন এখন আর তার বাদাম বিক্রি করার মন নেই। কারণ এমনিতেও তাকে চোখের সামনে দেখতে পেলে তার বাদাম কিনতে চায় না কেউ। সকলেই তার গান শুনতে চায়। আপনিও কি বাদাম কাকুর (Badam Kaku) গান শুনতে আগ্রহী? তাহলে চলে আসতে পারেন কলকাতার এলিট পাব ‘সামপ্লেস এলস’-এ।

হ্যাঁ, বর্তমানে বাদাম কাকুর নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছে কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী পাব। কলকাতা সম্ভ্রান্ত বংশীয়রা রঙিন সন্ধ্যা কাটানোর জন্য এখানে আসেন। কলকাতা শহরে পশ্চিমা স্টাইলে প্রথমবার এই বার খোলা হয়েছিল। এখানে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি লাইভ মিউজিক থাকে গ্রাহকের বিনোদনের জন্য। নামিদামি সংগীতশিল্পীরা এখানে পারফর্ম করেন মোটা টাকার বিনিময়ে। ‘বাদাম কাকু’ সেখানে জায়গা করে নিয়ে এবার কলকাতার নামী দামী শিল্পীদেরও টেক্কা দিচ্ছেন, এমনটা অনেকেই পছন্দ করছেন না।

কলকাতার এই পাবে পৌছে যেন রাতারাতি বাদাম কাকুর লুক বদলে গিয়েছে। কালো রঙের ব্লেজারে জমকালো পোশাক পরে রীতিমতো রকস্টার ইমেজ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মঞ্চে। তবে মঞ্চে উঠে প্রথমে ‘জয় রাধে’ বলে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের পারফরম্যান্স শুরু করেন তিনি। তার আগে বলে নেন, “আমার জ্ঞান খুব কম, আপনাদের কাছে পৌঁছেছি, আশা করছি ঠাঁই পাব’’। এদিকে কলকাতার এমন একটি এলিট পাব যেখানে গান গাওয়ার সুযোগ পেতে নামিদামি তারকারা মরিয়া, সেখানে বাদাম কাকু শুধু ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জেরে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন এটা অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যাওয়াটাই কি তবে গায়ক হয়ে ওঠার মাপকাঠি? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। ভাইরাল গান হলেই শুধু হল না, ‘সামপ্লেস এলস’ একটি নামী মঞ্চ। সেখানে যে কোনও শিল্পীকে সুযোগ দেওয়া উচিত নয় বলেই দাবি জানাচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। আক্ষেপ করে কেউ লিখছেন, আমাদের মান খুব নিচে নেমে যাচ্ছে! না হলে ‘সামপ্লেস এলস’-এ কাঁচা বাদাম গান! অবিশ্বাস্য, RIP মিউজিক’।

যদিও এমন মনোভাবের বিরোধিতা করে কলম ধরেছেন অনেকে। কাঁচা বাদাম গান যেখানে জগৎজোড়া খ্যাতি পেয়েছে সেখানে বাংলার মানুষের এই মনোভাব কাম্য নয় বলে বিবেচনা করছেন তারা। অখ্যাত, অনামী গায়কদেরও যোগ্য সম্মান দিক এমন মঞ্চগুলি, দাবি করছেন নেটিজেনদের অপর অংশ।