বিনোদনের দুনিয়াতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সুন্দরী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে দেখা যাচ্ছে নায়িকাদের। নায়িকাদের মধ্যে বেশিরভাগই তাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সুখী নন। শুধু শরীর চর্চা আর ডায়েটে তাদের মন ভরে না, চটজলদি নিখুঁত সুন্দরী হয়ে ওঠার জন্য তারা বিভিন্ন কসমেটিকস সার্জারিও করাচ্ছেন। আর স্টারকিড হলে তো কথাই নেই। তারাও ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার আগেই ভোল পাল্টে ফেলছেন।
এই যেমন কাজল (Kajol) এবং অজয় দেবগনের কন্যা নায়সার (Nysa Devgan) কথাই ধরা যাক। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তার চেহারা ছিল এক রকম। কিন্তু আচমকাই নায়সার চেহারার মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তিনি যেন রাতারাতি অনেক বেশি সুন্দরী হয়ে উঠেছেন। কাজল কন্যা এখন তন্বী। তবে ছোটবেলা বা নাবালক অবস্থায় তার ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার কোনও মিল পাচ্ছেন না নেটিজেনরা।
নায়সার গায়ের রংয়ে হঠাৎই অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা দেখার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক জল্পনা। নেটিজেনদের প্রায় সকলেরই দাবি নায়সাও আর পাঁচজন বলিউড সেলিব্রিটির মত সার্জারি করিয়ে সুন্দরী হয়েছেন। ত্বকের রং বদলানোর জন্য তিনি অস্ত্রপচার করিয়েছেন, এমনটাই দাবি করছেন সকলে। যদিও তার মা কাজল অবশ্য সেটা মানতে রাজি নন।
শুধু মুখ নয়, গায়ের রং নয়, নাইছ নাকি তার স্তনের উপরেও কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন বলে দাবি করছেন নেটিজেনদের একাংশ। অবশেষে মেয়ের এই সৌন্দর্যের সিক্রেট ফাঁস করলেন কাজল। তিনি জানালেন নায়সা কীভাবে হঠাৎ করে আগের থেকে এত বেশি সুন্দরী হয়ে উঠলেন। কাজলের দাবী, তার মেয়ে সারাক্ষণ নেট ঘাঁটেন। নেট থেকেই তিনি রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সবকিছু জানেন।
নায়িকা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই থেকে তিন গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল খালি পেটে খেয়ে নেন। তারপর জলখাবারে তিনি খান সেদ্ধ ডিম, টাটকা ফল এবং ওটস। তার বয়স এখন মাত্র ১৮ বছর। এখন থেকেই তিনি নিজেকে কড়া নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলেছেন। আর এভাবেই নাকি প্রাকৃতিক উপায়ে দিন প্রতিদিন সুন্দরী হয়ে উঠছেন কাজল কন্যা।