এটিএমে সব মানুষ টাকা তুলতে যান।যে কোন এটিএম এর ক্ষেত্রে গ্রাহক সুরক্ষার বিষয়টি ভীষণ মজবুতভাবে করা থাকে। গ্রাহকের সুরক্ষার কথা ভেবে এটিএম এর মধ্যে একজনের বেশি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কারণ এটিএম এর পাসওয়ার্ড অপর কেউ জেনে গেলে একজন ব্যক্তির অর্থাৎ গ্রাহকের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে।
তাই আমাদের আশেপাশের সকল এটিএম এর ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এটিএম ঘরের মধ্যের পরিসরে জায়গা থাকলেও সেখানে গ্রাহকের সুরক্ষার কথা ভেবে একের অধিক মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এছাড়াও রাখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ।
যেখানে অর্থের লেনদেন হয় সেই জায়গা একটু পাকাপোক্ত হওয়াই ভালো।আর এমনটাই হয়ে থাকে। কিন্তু কোথাও কোথাও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যায়, সেখানে এটিএম ঘরের মধ্যে ই চলে জুস খাওয়া।
অবাক হলেও এটাই সত্যি মহারাষ্ট্রের অমরাবতী শহরের একটি এটিএমের লাগোয়া একজন জুস বিক্রেতার দোকান রয়েছে। জুস বিক্রেতা সেখানেই জুস বিক্রি করে চলেছেন। ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের কথা ভেবে তিনি একটি বসার জায়গা ও করেছেন।
কিন্তু সবথেকে বিস্ময়কর ব্যাপারটি হলো জুসের দোকানের আসা ব্যক্তিদের বসার জন্য এটিএম মেশিনটি এটিএম ঘরের একবারে কোনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে এটিএম ঘরে টাকা তোলাও হচ্ছে আবার ফলের রস খাওয়া ও হচ্ছে। যে এটিএম ঘরে একের বেশি লোকের প্রবেশ উচিত নয় সেখানে ই একসাথে অনেক লোক ঢুকে বসে আছেন। বিষয়টি শুনতে মজাদার হলেও আসলে বেশ চিন্তার। এতে গ্রাহকের সুরক্ষাটি যথেষ্ট পরিমাণে বিঘ্নিত হয়।
#WATCH | Bizzare! Juice shop runs inside ATM centre in Maharashtra’s Amravati
Read more here- https://t.co/BSyHlOh0n9 pic.twitter.com/ujORKQISem
— Zee News English (@ZeeNewsEnglish) November 6, 2020
অমরাবতী শহরের এই এটিএম এর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সকলেই বেশ উদ্বিগ্ন। যদিও এই এটিএম-এ যারা টাকা তুলতে আসেন তাদের মধ্যে কিন্তু চিন্তার লেশমাত্র নেই। তারা একই সাথে টাকাও তুলছেন আবার জুস ও খাচ্ছেন। চাঞ্চল্যকর এই খবরটি জি নিউজে প্রকাশিত ও হয়েছে।