বাংলাকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাবে যমুনা ঢাকি, ধারাবাহিকে আসছে নতুন মোড়

একেই বলে একসঙ্গে জোড়া ধামাকা! যেদিন ৫০০ পর্ব ছুঁলো যমুনা ঢাকি (Jamuna Dhaki), সেদিনই টিআরপি তালিকায় ৩ স্থান দখল করে নিল ধারাবাহিকটি। কাজেই শুটিং ফ্লোরের আনন্দ হলো দ্বিগুণ। এদিন ৫০০ পর্বের উদযাপনে শুটিং ফ্লোরে কলাকুশলীরা ছোট করে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন। কেক কেটে সেলিব্রেশন করলেন সকলে।ভিডিও ভাইরাল হলো নেটপাড়ায়।

জিবাংলার (Zee Bangla) তরফ থেকে সেটে আনানো হয়েছিল ভ্যানিলা ক্রিম দিয়ে সাজানো চকলেট কেক। কেকের উপরে সুন্দর করে আঁকা রয়েছে ধারাবাহিকের লোগো। পাশে টুকটুকে লাল রঙের ৫০০ লেখা মোমবাতিও জ্বালানো হয়েছিল। এই বিশেষ মুহূর্তটির ভিডিও করে সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেন সঙ্গীত ওরফে রুবেল দাস (Rubel Das)। কেক কাটার বিশেষ পর্বটিও দর্শকরা দেখতে পেয়েছেন স্মার্টফোন মারফত।

এদিন কেক কেটে সেলিব্রেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী সোমা দে, কাঞ্চনা মৈত্র দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কার্য নির্বাহী প্রযোজক থেকে শুরু করে রূপটান শিল্পীরা। ধারাবাহিকের এই সাফল্য উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত দর্শকদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলাকুশলীরা। দর্শকদের হয়ে এক টুকরো কেক নিজের মুখে পুরে নিলেন রুবেল। ভাইরাল হলো সেই ভিডিও।

ধারাবাহিক ৫০০ তম পর্বে পা রাখার পর আনন্দবাজার অনলাইন ‘যমুনা ঢাকি’ ওরফে শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya), ধারাবাহিকের পরিচালক ও প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর (Snehasish Chakraborty) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। যমুনা এবং জ্যোতি, দুজনের চরিত্রে বিস্তর ফারাক। শ্বেতার মনের কাছে কোন চরিত্র? কে বেশি আপন? অভিনেত্রী আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, “যমুনা ঢাকির মতো জ্যোতিও আমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে। চরিত্রের দিক থেকে সে আধুনিকা, ভীষণ কর্কশ, উগ্র। ছক কষে প্রতিটি পা ফেলে। প্রচন্ড বাস্তববাদী এবং ঠোঁটকাটা। যেটা যমুনা নয়। ও খুবই আটপৌরে, সাদাসিধে মেয়ে।” শ্বেতার পছন্দের কাছাকাছি রয়েছে যমুনা। কারণ এই চরিত্রে তাকে ঢাক বাজাতে শিখিয়েছে।

স্নেহাশীস আনন্দবাজারের কাছে জানিয়েছেন, “আগামী দিনে ধারাবাহিকে যমুনা বাংলাকে পৌঁছে দিতে চলেছে জাতীয় স্তরে। তার গর্বে গর্বিত হবে তার রাজ্য।” যদিও এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি পরিচালক। বাকিটা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে টেলিভিশনের পর্দায়। বাংলার একাধিক চ্যানেলে এই মুহূর্তে তার ৮টি ধারাবাহিক চলছে রমরমিয়ে। প্রত্যেকটিই স্লট লিডার। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও স্নেহাশিসের ধারাবাহিক মন দিয়ে দেখেন।স্নেহাশিসের কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সব ধারাবাহিক দেখেন। দিদি নিজেও গান-বাজনার সমঝদার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে সেখানকার মানুষদের সংস্কৃতি, দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখেন। শুনেছি ঢাক শিল্প এবং ঢাকিদের দিকে তারও নজর রয়েছে।”