দেশজুড়ে এখন একেই কোরোনা আতঙ্কে রীতিমত কাবু দেশবাসী। এমন পরিস্থিতিতেই তেলিনিপাড়া সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তের মধ্যে রীতিমত ছড়িয়ে পড়ছে সেইসব ছবি আর তার সাথে পাল্লা দিয়েই ছড়িয়ে পড়ছে গুজব। এই গুজবের ফলেই অশান্ত হয়ে উঠছে পরিবেশ।এই পরিস্থিতিকে আটকাতেই জেলা প্রশাসন এবার হুগলির ১১ টি থানা এলাকায় এলাকায় আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। তবে কেবল টিভি এবং দিশ টিভি পরিষেবা চালু থাকবে।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার এবং হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন বলবত করে মঙ্গলবার এই বিষয় যৌথ নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকায় সমাজবিরোধীদের ছড়ানো গুজব রুখতে ভোডাফোন, জিও, বিএসএনএল, আইডিয়া, এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিস-সহ সমস্ত কেবল টিভির ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে।ইতিমধ্যেই সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশিকা জানানো হয়েছে।
কোথায় কোথায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে?
চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমা এর অন্তর্গত ১১ টি থানা এলাকায় ( উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলা জাঙ্গিপাড়া, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, সিঙ্গুর, হরিপাল এবং তারকেশ্বর) আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি গোষ্ঠীর লোক লকডাউন মানছে না এই নিয়ে রবিবার ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে তেলিনিপাড়ায়। গোষ্ঠী হিংসার জেরে উত্তপ্ত হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া। ২ গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় RAF. কিন্তু মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ায় রণে ভঙ্গ দিতে হয় তাদের। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি দোকানে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। আগুন নেভাতে ছোটে দমকল। সংঘর্ষে এদিনও ২ পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। ভাঙচুর করে আগুন ধরানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকানে। ঘটনায় সোমবার ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।