স্বামীকে দিতে পারেননি বাবার সুখ, প্রকাশ্য ক্যামেরায় স্বীকার করলেন ইন্দ্রানী হালদার

বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) জগৎ হোক কিংবা বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) মিডিয়া, ইন্দ্রানী হালদারের (Indrani Halder) অবাধ বিচরণ সর্বত্র। অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার বাংলা ছবির পাশাপাশি বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করছেন। তার সমকালীন সময়ের বহু নায়িকাই যেখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সেখানে ইন্দ্রানীর জনপ্রিয়তা আজও আগের মতোই আছে। বরং দিনে দিনে বেড়েছে জনপ্রিয়তা। কখনও গোয়েন্দা গিন্নি, কখনও শ্রীময়ী, ইন্দ্রানী হালদার আজ বাংলার প্রত্যক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন।

অভিনেত্রীর জীবনে না পাওয়া বলতে কিছুই নেই। নাম, যশ, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে তার কদর ইন্ডাস্ট্রিতে আকাশ ছোঁয়া। তবে এর মাঝেও তার মনে রয়ে গিয়েছে একটি আফসোস। সেই আফসোসের কথা তিনি খোলাখুলি একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন। জি বাংলার ‘অপুর সংসার’ টক শো’তে অংশগ্রহণ করে মন খুলে নিজের জীবনের না পাওয়া একটি বিষয় তিনি তুলে ধরেন। ইন্দ্রানী জানিয়েছেন মা হতে না পারার আফসোস তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।

১৯৭১ সালে কলকাতায় জন্ম হয় ইন্দ্রানীর। খুব ছোট থেকেই নাচ-গানের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। একদম ছোট বয়সেই ক্লাসিক নৃত্যের প্রতি টান তৈরি হয়। ক্লাসিক নৃত্যে পারদর্শী ইন্দ্রানী নাচ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। টলিউড এবং বাংলা টেলিভিশনজুড়ে দাপিয়ে অভিনয় করেন ইন্দ্রানী। তিনি থাঙ্কুমুনি কুট্টির কাছে নাচ শিখেছেন। প্রথমে নাচের মাধ্যমে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। টেলিভিশনের পর্দায় বহুবার তাকে নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

বাংলা ধারাবাহিক ‘তেরো পার্বণ’ এর হাত ধরে তার প্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয় নজর কেড়েছিল। এরপর টলিউডের একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী এবং রানী মুখার্জির সঙ্গে তার অভিনীত ‘বিয়ের ফুল’ ছবিটি দারুণ হিট হয়। অভিনেত্রী নিজেও অনেক প্রশংসা পেয়েছিলেন। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ভিন্ন স্বাদের ছবিতেও সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিলেন ইন্দ্রানী। ‘দহন’, ‘অংশুমানের ছবি’, ‘আরও একবার’ ছবি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয় জীবনে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এমনকি বলিউড থেকেও তাকে বহুবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বেশকিছু হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। একের পর এক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। বাংলা টেলিভিশনের ‘সীমারেখা’, ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে আলাদা আলাদা চরিত্রে আলাদা আলাদা রূপে তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এর মধ্যে একজন সাধারণ গৃহবধু হিসেবে ‘শ্রীময়ী’তে এবং একজন গোয়েন্দা হিসেবে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’তে তিনি দারুণ প্রশংসা পেয়েছেন। তবে সব সময় কেরিয়ারের পিছনে ছুটতে ছুটতে মা হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সেই আফসোসটা রয়েই গিয়েছে।