আজকের এই পৃথিবীতে কমবেশি সবাই আমরা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছি। কেউ প্রত্যক্ষ বা কেউ পরোক্ষভাবে।আসলে বয়সন্ধিকালে স্কুল বা বা টিনেজে কলেজে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে যারা সিগারেট বা বিড়ির সুখটানে একবার জড়িয়ে পড়েছিল তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইসব মাদক দ্রব্য থেকে নিজেদের আর সরিয়ে রাখতে পারে নি।আর তারফলেই আজ তারা পারছে না এই ক্ষতিকর বস্তুর প্রভাব থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে।আর এর ফল হিসেবেই ধূমপায়ী ব্যক্তিদের শরীরে আস্তে আস্তে বাসা বাঁধে নানান মারন রোগ।আজকের ব্যস্ততার জীবনে আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে যখন খুব একটা চিন্তিত , তখন আমরা আমাদের অজ্ঞতার মধ্য দিয়েই জড়িয়ে পড়ি এইসব খারাপ অভ্যাসের দিকে।বর্তমানে ধূমপানের ও তামাক সেবনের ফলেই সারা পৃথিবী জুড়ে নেমে আসতে চলেছে এক স্বাস্থ্য বিপর্যয়।একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ এই মারন তামাক আসক্তি।আর আমাদের দেশ ভারতে প্রায় প্রতি বছর ২,৫০০ জন মানুষ ধূমপান বা তামাক আসক্তির কারণে মারা যায়।
তামাক আসলে কি ?
তামাক একপ্রকার চড়া ধরনের নেশার বস্তু।তামাক পাওয়া যায় নিকোটিনা টোবাকাম গাছ বা তামাক গাছের পাতা থেকে ,যা শুকিয়ে তারপর অন্যান্য কিছু বস্তুর সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয়।এরপর তা থেকেই তৈরি করা হয় নানান নেশার সামগ্রী। যেমন সিগারেট, বিড়ি, খৈনি,নস্যি ,জর্দা ও হুঁকোর সামগ্রী।তবে শুধু মাত্র ধূমপানের মাধ্যমেই যে এই নেশা করা হয় তা কিন্তু নয়।এদের মধ্যে অনেকই মুখে খাওয়ার মাধ্যমে যেমন খৈনি,আবার নাকে নেওয়ার মাধ্যমে যেমন নস্যি ইত্যাদি।
তামাক থেকে কীভাবে নেশা হয় ?
তামাক পাতায় আছে এক রাসায়নিক যার নাম নিকোটিন। এই ক্ষতিকর রাসায়নিক বা উপক্ষার আমাদের শরীরে গেলে তা আমাদের শরীরে একপ্রকার সুখ উৎপন্ন কারী হরমোন যার নাম ডোপামিন নিঃসরণ করে। আর এর ফলেই আমাদের মস্তিষ্কে এক আনন্দদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।আর তাই আমাদের মস্তিষ্ক বার বার আমাদের এই রাসায়নিক গ্রহণ করতে উদ্দীপিত করে।আর এই উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে আমরা নিজেদের এর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারি না।
তামাক থেকে কি ক্ষতি হয় ?
তামাক শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই তার ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।তামাকের নিকোটিন এক প্রকারের উত্তেজক।এই উপক্ষার ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গে আড্রিনালিন নামের আপদকালীন হরমোন ক্ষরণ হয়।আর এর ফলে চোখের তারারন্ধ্রের সংকুচন প্রসারণ, হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়ে।শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার পরিবর্তন দেখা যায়।এছাড়াও বেসাল মেটাবলিক রেটের ও পরিবর্তন দেখা যায়।শরীরের রক্তচাপের তারতম্য দেখা যায়।একটানা এইভাবে অনেকদিন ধরে ধূমপানের বা তামাক সেবনের ফলে মানব শরীরের বিভিন্ন আভ্যন্তরীন অঙ্গ যেমন মুখ গহ্বর, শ্বাসনালী, পাকস্থলী ,অন্ত্র,ফুসফুস, গর্ভাশয়, বৃক্ক ইত্যাদি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।এইসব অঙ্গে কোশের অস্বাভাবিকতার ফলে কর্কট রোগের মতো মারন রোগের সৃষ্টি হয়।ধূমপান বা তামাক সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব অসংখ্য।একটা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় ,একটি সিগারেট থেকে যে পরিমান ক্ষতিকর পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তা মানুষের পরমায়ু ৮ মিনিট করে কমিয়ে দেয়।
তামাক সেবন বা ধূমপানের করলে শরীরে কি ক্ষত হয় ?
বাহ্যিক ক্ষতি :- যেসব বাহ্যিক পরিবর্তন আমাদের শরীরে লক্ষ্য করা যায় তামাক সেবন বা ধূমপানের মাধ্যমে তারা হল, মুখের চামড়ার কোমলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া,অর্থাৎ অকাল বার্ধক্য চলে আসা, ঠোঁটের স্বাভাবিক বর্ণের পরিবর্তন হওয়া ও তা ট্যান হয়ে যাওয়া,দাঁতে হলদে বা কালো ছোপ পড়া, মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া, শারীরিক সক্ষমতার কাজে অল্প সময়ে ক্লান্তি চলে আসা।এছাড়াও একটানা কোনো কাজে মনস্থির করতে না পারা।ঘুমের গড় সময় কমে আসা।খাবারে অনীহা ভাব তৈরি হওয়া।স্নায়ু দুর্বলতা তৈরি হওয়া।চুল পড়তে থাকা।চোখের দৃস্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া। স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া।
আভ্যন্তরীন ক্ষতি :- একটানা তামাক সেবন বা ধূমপানের ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার অস্বভাবিকতা দেখা যায়। এছাড়াও ফুসফুসের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া দেখা যায়।স্ট্রোক ও হৃদরোগের সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়ে যায়।এছাড়াও বর্তমানের গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে পুরুষদের শুক্রাণু ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণু উৎপন্ন করার কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় ধূমপানের ফলে।শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ দেখা যায়।
ধূমপানে বা তামাকে আকর্ষিত হয় যারা
ধূমপানে বা তামাকে আসক্ত হয় সাধারণত বয়ঃসন্ধি কাল থেকেই। আসলে আমরা আমাদের বড়দের অনুকরণ করার চেষ্টা করি। শুরুটা হয় বন্ধুদের মাধ্যমে বা দাদাদের মতো বড়দের হাত ধরে। কিছুটা মজা বা আমেজ নেওয়ার কথা ভেবেই।আর এরপর এই ধূমপান বা তামাকের ব্যবহারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে বাড়ির বড়দের এর ব্যবহার।দাদু ,বাবা ,কাকা, বা অন্য সকল মানুষ যারা এগুলো ব্যবহার করে তাদের কাছে থেকে গোপনে স্কুল পড়ুয়ারা তা সংগ্রহ করতে থাকে। এবং রোজ তা গ্রহণে এক প্রকার তা নেশায় পরিণত হয়।এছাড়াও কলেজে পড়ার সময় বাইরে থেকে পড়াশোনা করার সময় বাবা মায়ের থেকে দূরে থাকার ফলে সহজেই আকর্ষিত হয় বেশিরভাগ ছেলেরা। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে ধূমপানের ঘটনা ঘটে।তবে গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরের দিকে মহিলারা যারা তাদের হাই প্রোফাইল স্ট্যাটাস দেখাতে চান তারা এইসব তামাক বা ধূমপানে আকর্ষিত হয়। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলেও অনেকের হাতেখড়ি হয়। প্রান্তিক গ্রামীণ অঞ্চলে সাধারণত পরিবারের বড়দের দেখেই ছোটরা আকর্ষিত হয় ধূমপান বা তামাক সেবনে। আসলে শিক্ষার অজ্ঞতা এই মারন নেশার অন্যতম কারণ। তবে অনেক শহুরে শিক্ষিত মানুষও ধূমপান করে সবকিছু জেনেও। আসলে ধূমপানের বা তামাক সেবনের তাৎক্ষণিক রোগের সম্ভাবনা না থাকার ফলেই আমাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয় না বললেই চলে। আর তাই গ্রাম থেকে শহর পুরুষ থেকে নারী ,নবীন থেকে প্রবীণ সকলেই আজ এই মারন নেশার কবলে।
ধূমপান ছাড়বেন কীভাবে ?
- যারা সবে শুরু করেছেন ধূমপান তাদের জন্য এটা জেনে রাখা দরকার ,ধূমপানের ফলে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীর।তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন আজ থেকেই এই ক্ষতিকর বস্তু থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখবো।
- ধূমপানের ফলে যে আমেজ তৈরি হয় বলে মিথ্যা ধারণা বড়রা ছোটোদের দেয় তা সম্পূর্ন মিথ্যা। তাই এইসব কথায় কান না দিয়ে শরীরকে ঠিক রাখার জন্য ভালো অভ্যাসের প্রয়োজন।আর তাই ধূমপান ত্যাগ করা দরকার প্রথম থেকেই।
- বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেরা তাদেরকে যেন বেশিবেশি খেলাধুলায় বা ব্যায়ামের মতো স্বাস্থ্য ঠিক রাখার কাজে যুক্ত রাখবে। মনে রাখতে হবে সুস্থ শরীর হল সকল প্রকার আনন্দের চাবিকাঠি।
- পছন্দের ব্যক্তি যেমন শিক্ষক বা দাদারা বা বাড়ির বড়রা ধূমপান করছে বলে যে তোমাদেরও এই খারাপ নেশার মধ্যে পড়তে হবে তা কিন্তু নয়। তারা যারা তাদেরকে এই খারাপ নেশার মাধ্যমে জড়িয়ে ফেলেছে, তুমি তাদের অনুরোধ করতে পারো এই খারাপ নেশা ত্যাগের জন্য। আর এইভাবেই তুমি বুঝিয়ে দিতে পারো স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তুমিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
- যারা চেন স্মোকার বা তামাকের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদেরকে বলি, আপনারা সকলেই কমবেশি জানেন যে ধূমপানের বা তামাক সেবনের মাধ্যমে নিজেদের শরীরে ক্ষতি করে ফেলেছেন।তাই এখনই তা ত্যাগের মাধ্যমে বড়ো কিছু মারন রোগ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেন।
- প্রথমেই যে সব না খেয়ে থাকতে পারবেন তা কিন্তু নয়।তাই ব্যবহার কমান।নিজে যদি না পারেন, তাহলে স্ত্রী বা বন্ধুকে বলুন তারা আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবেন।সারাদিনে পূর্বে যা খেতেন তার অর্ধেক করার চেষ্টা করুন। তারপর বেশ কিছুদিন এইভাবে যাওয়ার পর আরও অর্ধেক করার চেষ্টা করুন।আর এইভাবেই একমাস বা তার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করলে আপনি দেখবেন আপনার ধূমপান বা তামাক সেবনের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রিত করতে পেরেছেন।পরে ধীরে আপনি তা থেকে মুক্ত হতেও পারবেন।
- ভুলেও নিজের কাছে সিগারেট বা বিড়ির বা খৈনির প্যাকেট রাখবেন না।নিজের কাছে থাকলেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর খেতে ইচ্ছা করবেই।তাই এখনই প্যাকেট কেনা বন্ধ করুন।কিনতে হলে তা একটি বা বড়জোর সারাদিনের জন্য দুটি কিনুন।
- পরিবারের কথা ভাবুন।আপনার যদি কিছু মারাত্মক কিছু শারীরিক বিপর্যয় হয়ে যায়, তাহলে আপনার পরিবার কীভাবে কাটিয়ে উঠবে সেই খারাপ সময়।আপনিই পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী। আর তাই আপনার জ্ঞানত কোনো কূঅভ্যাস আপনার শরীরের সাথে সাথে আপনার পরিবারকেও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিক তা আপনি নিজেও চান না।তাই এখন থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন ধূমপান বা তামাক সেবন ত্যাগের বিষয়ে।
- আপনার প্রত্যক্ষ ধূমপানের ফলে পরোক্ষভাবে আপনার সন্তান ও আপনার কাছাকাছি থাকা বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদেরও শরীর সমান ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তাই সকলের ভালোর কথা ভেবে আপনার এখনই ধূমপান বা তামাক সেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।
- ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে আপনার সামাজিক সম্মান দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।আপনি সকলের সামনেই বিয়েবাড়ি বা কোনো অনুষ্ঠানে ধূমপান বা তামাক সেবন করেন তখন আপনার এই কূ অভ্যাসের কথা সকলের জানাজানি হয় ।ফলে আপনি পরবর্তীতে তাদের দ্বারা অপদস্থ হতেও পারেন।তাই নিজের ও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আপনার ধূমপান বা তামাক সেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।
- ধূমপানের বা তামাক সেবনের জন্য যখন বেশি ইচ্ছা হয় তখন টক জাতীয় ফল যেমন আঙুর,লেবু বা তেতুল জাতীয় ফল খেতে পারেন।একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে টক জাতীয় খাবার তামাক বা ধূমপানের ইচ্ছাকে কমিয়ে দেয়।এছাড়াও মুখে রাখতে পারেন আদা বা লং বা এলাচ ।এরাও আপনাকে তামাক বা ধূমপানের ইচ্ছা কমাতে সাহায্য করে।এছাড়াও জোয়ান বা মৌরির মতো মুখশুদ্ধি ব্যবহার করতে পারেন ধূমপানের নেশার ইচ্ছার সময়।
- ধূমপান বা তামাক সেবন বন্ধ করার ইচ্ছা আপনার পরিবারগত হলেও তাকে কার্যকরী করার সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা।আর তাই আপনাকে বুজতেই হবে ,আপনি চেষ্টা করলে তবেই সম্ভব।মানুষ পারে না এমন কিছুই কাজ পৃথিবীতে নেই।তাই আপনার দৃঢ় সংকল্পই আপনাকে দূরে রাখবে এই কূঅভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে।
- ধূমপান ত্যাগ করতে বা তামাক সেবন বন্ধ করতে আপনি বর্তমানে বিভিন্ন কম মাত্রার নিকোটিন ট্যাবলেট যা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা ব্যবহার করতে পারেন।আর এইভাবেই আস্তে আস্তে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন দেখবেন তামাক সেবন বা ধূমপান থেকে।
- পার্টি বা ফূর্তি বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন।কারণ বন্ধুরা সামনে থাকলে কেউ নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন রাখতে পারেন না।আর তখন নিজেদের ডুবিয়ে রাখেন নানান আমেজে।আর আপনার নেশা ছাড়ার ইচ্ছারও দফারফা হতে পারে।তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান ছুটির সময় বাড়িতে বা বাইরে। তাহলে আপনি নিজের মনকে নেশার চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন সহজেই।আর এইভাবেই আস্তে আস্তে ধূমপান বা তামাকের নেশার কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।
- জীবনকে রাখুন ব্যস্ত নানান কাজের মাধ্যমে।অফিসের কাজের চিন্তা অফিসেই থাকুক।বাড়িতে বাগান তৈরি করার মতো সুযোগ থাকলে অবশ্যই করুন।গল্পের বই পড়ে অবসর সময় কাটান।শব্দছক করুন।মস্তিষ্ককে সদাই দিন নতুন কিছু কাজের অনুভূতি।তাহলে এইসব নতুন কাজ মস্তিষ্কে সৃষ্টি করবে নতুন সব আমেজ ।যা আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখবে ধূমপানের নেশা বা তামাক সেবনের মতো ইচ্ছাকে দূরে সরিয়ে রাখতে।
- সর্বশেষে মনে রাখবেন একটা সুন্দর জীবনের অধিকারী তখনই আপনি হতে পারবেন যখন আপনি নীরোগ হতে পারবেন।আর ধূমপান আপনার এই ইচ্ছার সম্পূর্ন বিরোধী।আপনার ভবিষ্যৎ সুখময় জীবনের কথা ভেবে এখনই ত্যাগ করুন এইসব খারাপ নেশাকে।