পুজোয় বাজারে ঘুরছে জাল ৫০ টাকার নোট! কীভাবে চিনবেন?

বিগত তিন বছর ধরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বেশিরভাগ নোটের আকার, রং এবং চেহারায় পরিবর্তন এনেছে। বেশিরভাগ পুরাতন নোট বদলে বাজারে চলছে নতুন নোট। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নতুন অঙ্কের নোটও বাজারে চালু করা হয়েছে। নতুন সুরক্ষা বিশিষ্ট এই সকল নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চালু করেছে, যাতে এর অনুলিপি করা দুঃসাধ্যকর হয়। অর্থাৎ বাজারে জালিয়াতি বন্ধ করা যায় এবং জালিয়াতির সাথে যুক্ত কারবারিদের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাল নোট কারবার চলছেই।

বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ বড় নোটের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। বড় নোট লেনদেনের ক্ষেত্রে তারা পাঁচবার সেটিকে দেখে নেই। ফলে নতুন নোটের ক্ষেত্রে জাল অনেকাংশেই ধরা পড়ে যায়, এতেও লোকসানের সম্মুখীন জাল নোট কারবারিরা। তাই তারা সেইসব নোটের দিকে বর্তমানে নজর দিয়েছে, যে সকল অঙ্কের নোটগুলি মানুষ সাধারণত না দেখেই পকেটে পুরে নেয়। যেমন ছোট নোট ৫০ টাকা।

কিন্তু জানেন কি! ছোট হোক অথবা বড় যে কোন অঙ্কের বেশি পরিমাণে জাল নোট নিয়ে ধরা পড়লে করার শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন আপনিও। তাই বাজারে যে কোন অঙ্কের নোট লেনদেনের আগে অবশ্যই যাচাই করুন আসল না নকল। নতুন নোট ৫০ টাকার সুরক্ষার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে, যা আসল এবং জাল নোট চিহ্নিত করে। এই ১৪ টি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য …

১) নোটের মান দেখে।
২) দেবনাগরী লিপিতে নোটে অঙ্কের মান।
৩) নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি।
৪) আরবিআই, ভারত, ভারত এবং ছোট আকারে ৫০ লেখা।
৫) ভারত এবং আরবিআইয়ের সুরক্ষা দাগ।
৬) মহাত্মা গান্ধী ছবির ডান পাশের গ্যারান্টি ধারা, আরবিআইয়ের গভর্নরের স্বাক্ষর, প্রতিশ্রুতি ধারা এবং আরবিআই লোগো।
৭) ডান দিকে অশোক স্তম্ভের স্বাক্ষর।
৮) মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি এবং ইলেক্ট্রোটাইপ ফর্ম্যাটে লেখা।
৯) বাম দিক থেকে ডান দিকে সরানো নম্বর প্যানেল।
১০) নোটের পিছনে বাম দিকে নোট মুদ্রণের বছর।
১১) স্লোগান সহ স্বচ্ছ ভারত লোগো।
১২) মাঝখানে লেজেন্ড প্যানেল।
১৩) রথের সাথে হাম্পী চিত্র।
১৪) দেবনাগরী লিপিতে লিখিত নোটের মূল্য।