করোনার আবহের মধ্যেই পয়লা বৈশাখ থেকে নববর্ষ কেটে গেল। দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে এক একটা মাস। সামনেই আসছে আশ্বিন মাস। আর আশ্বিন মাস মানেই দুর্গাপূজা!সারাবছর প্রতিটি বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে এই একটি পুজোর জন্য। মা আসবেন বলেই সকলের অপেক্ষা। সপ্তমীর দিন দেবীর আগমন ঘটে, আর দশমীর দিন দেবীর বিসর্জন।
দেবী কীসে আসবেন এবং কীসে যাবেন তার জন্য আছে নানা রকমের যান। আর এই সকল যানের কথা উল্লেখ করা আছে শাস্ত্রে। কোন বছর দেবী কোন যানে করে আসবেন তাও প্রতি বছরের পঞ্জিকাতেই লেখা থাকে।
তবে এই যানের হিসেব করার জন্য একটি সহজ সূত্র ও আছে সহজসূত্র টুকু যদি একবার বুঝে নিতে পারেন তাহলে আপনি নিজে নিজেই বলে দিতে পারবেন কোন বছর মা দুর্গা কীসে করে আসবেন আর কীসে করে গমন করবেন?!
শাস্ত্রে লেখা আছে :-
“রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ।
গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে ।।”
অর্থাৎ, রবিবার অথবা সোমবার যদি সপ্তমী হয় তাহলে মায়ের আগমন ঘটবে গজে বা হাতিতে। ঠিক একই হিসেব অনুযায়ী দশমীর দিন ও যদি রবি বা সোমবার পরে তাহলে মায়ের গমন হবে গজে। ‘ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ’ শব্দটির অর্থ হলো সপ্তমী ও দশমী যদি শনি বা মঙ্গলে হয় তাহলে মায়ের আগমন ও বিসর্জন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়।
আরও পড়ুন :- মা দুর্গার প্রতিমা বানাতে বেশ্যালয়ের মাটি লাগে কেন?
‘গুর শুক্রে চ দোলায়াং’ এর অর্থ হলো সপ্তমী ও দশমী যদি বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার এ হয় তাহলে দেবীর আগমন ও বিসর্জন ঘটবে দোলায়। এরপর আছে ‘নৌকায়াং বুধবাসরে’ অর্থাৎ সপ্তমী ও দশমী যদি বুধবারে হয় তাহলে দেবীর আগমন ও বিসর্জন দুই ই নৌকায় হবে।
আরও পড়ুন :- মা দুর্গার হাতে থাকা ১০ অস্ত্রের তত্পর্য কি?
এই হলো নিয়ম এই বছর দুর্গাপূজার সপ্তমী হলো মঙ্গলবার। আর দশমী হলো শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব মতো দেবীর আগমন হবে ঘোটকে। আর দেবীর বিসর্জন হবে দোলায়।