জীবনে সুখী হওয়ার উপায়

পৃথিবীতে কোনো মানুষই অমর নয়।আমরা কেউই আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না, জীবন আমাদের ক্ষণস্থায়ী। আর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের মধ্যেই আমরা তাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলি নানা রকম চিন্তায়। আমাদের উচিত এই অল্প আয়ুষ্কালের প্রত্যেকটি মুহূর্ত  উপভোগ করা । আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হল নিজেদের সুখী রাখা। অনেকেই আমরা অনেক অর্থ উপার্জন করি কিন্তু তবুও আমরা সুখী নয়। আবার অনেকেই আছে যারা দিন এনে, দিন খায়, তারা কিন্তু সুখেই জীবন যাপন করছে। তাই  আমাদের মনে রাখতে হবে জীবনের প্রকৃত সুখটাকে উপভোগ করতে হলে কীভাবে কাটাতে হবে জীবন?আমরা কি আদৌ সুখে শান্তিতে কাটাতে পারছি আমাদের জীবন?

না পারছি না।প্রতিদিনই আমরা আমাদের চারপাশে তৈরি করছি চাওয়া ,পাওয়া ,সাফল্য ও ব্যর্থতার খতিয়ান। আর এর থেকেই তৈরি হচ্ছে হতাশা।সফল হলে তৈরি হচ্ছে নতুন কিছু লক্ষ্য, আর বিফল হলে ডুবে যাচ্ছি অবসাদের সমুদ্রে।আত্মীয় -স্বজন, মা -বাবা , বন্ধু -বান্ধব সবার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছি দূরে।অবসাদের পোকা কুরে কুরে খাচ্ছে আমাদের।আর এই অবসাদের শেষ পরিণতি যে কতোটা মারাত্মক তা আমরা রোজই দেখছি খবরের পাতায়। আত্মহত্যা করতেও পিছুপা হচ্ছে না এই অবসাদগ্রস্থ লোকেরা।ঈশ্বরের সৃষ্ট এই মানব জন্ম ,আর এই তার চরম পরিণতি কিন্তু কোনও দিনই কাম্য নয়।আমরা যদি একটু সচেতন হয়, তাহলে প্রত্যেকেই জীবনে নিজের নিজের একটা পরিসর তৈরি করতে পারবো, আর সেখানে আমরা হবো সফল।তবে তার জন্য আমাদের জানতে হবে জীবনকে উপভোগ করার সঠিক পদ্ধতি।যেভাবে জীবন কাটালে তা আমাদের দেবে প্রতি মুহূর্তই আনন্দ।আর আজকের আলোচ্য বিষয় তাই জীবনকে উপভোগ করার দারুন দারুন গুরুত্বপূর্ন মন্ত্র।যা আমাদের প্রত্যেকের জীবনকেই বানিয়ে তুলবে আনন্দপূর্ণ ও প্রাণবন্ত। জীবনকে প্রাণবন্ত রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

জীবনে সুখী হওয়ার উপায়

Source

অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে শিখুন

আমাদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয় তার মূল কারণ হলো আমরা অল্পতেই  সন্তুষ্ট হয় না তার বদলে আমরা করি আক্ষেপ। আমাদের এই আক্ষেপই আমাদের জীবনে নিয়ে আসে দুশ্চিন্তার চোরাবালি। প্রত্যেকেরই জীবনে কিছু না কিছু আক্ষেপ আছেই।কেউ করে রূপের আক্ষেপ, কেউ করে বাইক, মোবাইল ,ব্র্যান্ডেড জামা কাপড় থেকে শুরু করে অলঙ্কারের আক্ষেপ।আবার আজকালকার  দিনের তরুণ প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়ায়  বন্ধু, বান্ধবী বানানো নিয়েও আক্ষেপ দেখা যায়।তবে মনে রাখতে হবে আমাদের কাছে যা কিছু আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।সবার সবকিছু থাকবে না।আমার রূপ তা সে শ্যাম বর্ন বা  আপনি মহোক তা যেন কখনোই আমার সুখ দুঃখের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।আমার কাছে কমদামি মোবাইল বা কমদামি শাড়ি বা গয়না আছে বলে যে আমি আমার বন্ধুদের কাছে দাঁড়াতে পারবো না,তা কিন্তু নয় আমার কাছে যা কিছু আছে তা দিয়েই আমাকে খুশি থাকতে হবে তবে ভালো করার চেষ্টা করতেই পারো।কিন্তু তার জন্য নিজের সুখ শান্তি বিসর্জন দিতে হবে তা কিন্তু নয়। বস্তুগত আক্ষেপ কোনো দিনই পূর্ন হয় না।সাফল্যের জন্য রাত জেগে পড়াশোনা করা ,আর আমার দামী মোবাইল নেই তার জন্য রাত জেগে থাকা ,মা বাবাকে দামি গাড়ি কিনে দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে রাত জাগিয়ে রাখা দুটোই কিন্তু সম্পূর্ন আলাদা।মনে রাখবেন আপনার না পাওয়ার চেতনা যেন আপনার মস্তিষ্ককে গ্রাস না করতে পারে।একবার গ্রাস করলেই আপনি আর নিজেকে তুলতে পারবেন না অবসাদ থেকে।  তার চেয়ে বরং যা আছে তাকে নিয়ে খুশিতে থাকুন।আপনার অনেক কিছু না থাকার মধ্যেই অনেক ভালো কিছু আছে যা নিয়ে আপনি ভাবেনই না ।এবার থেকে ভাবুন।একটা ভালো ফোন বা দামি গাড়ি আপনাকে সব দিতে পারে না।কিন্তু অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে পারলে আপনি কোনোদিন হতাশার মায়াজালে জড়িয়ে পড়বেন না।

Source

আপনার গতকালকের কথা ভেবে বর্তমানকে নষ্ট করবেন না

প্রত্যেকেরই কাছে বর্তমানের চেয়ে অতীত ভালো।শুধুমাত্র যারা সফল হয়েছে তারাই বর্তমানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।আর তাই তাদের জীবন থেকে এই শিক্ষা নিতে পারি যে আমরা অতীত নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করবো না।অতীত আমাদের অনেকের কাছেই ভালো ছিল কারণ এই সময়ে আমরা কাটিয়েছি আমাদের ছেলেবেলা, স্কুল জীবন, কলেজ লাইফ।তাই সেই জীবনের স্মৃতি সবার কাছেই আলাদা।কিন্তু কর্ম জীবন শুরুর আগের মুহূর্তে যদি আমরা আমাদের অতীত নিয়ে ভাবি তাহলে বর্তমান জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করবো আর নিজেদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হব।তাই আমাদের জীবনে এর থেকেই তৈরি হবে সেই সুখের জীবন ফিরে পাওয়ার হতাশা।আর তা আমাদের বর্তমানের সুখ সাচ্ছন্দ্য তাতে ব্যাঘাত ঘটবে।অতীতের স্মৃতি সবসময় আমাদের বর্তমানকে ভালো করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে।কিন্তু তা কখনোই বর্তমানকে নষ্ট করবে না।অতীত আমাদের দিয়েছে অনেক কিছুর বাস্তব অভিজ্ঞতা ।সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের বর্তমানকে ঠিক রাখতে হবে।অতীত স্মৃতি যেন কখনোই আমাদের বর্তমানের দুঃখের ,বা হতাশার কারণ না হয়।

Expect Little
Source

 প্রত্যাশার পরিধি ছোট করুন

আমরা মানুষেরা সমাজবদ্ধ জীব।সমাজে  থাকতে থাকতে মা, বাবা ,পরিবার, বন্ধু সবার কাছেই আমাদের কিছু প্রত্যাশা তৈরি হয়।আর এই প্রত্যাশা পূর্ন না হলে আমাদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা বা দুঃখ।আপনারা পরিবারে আপনার একটা নির্দিষ্ট কর্তব্য থাকবে।আপনার সন্তান হয়তো মা বা বাবার  যত্নের মর্যাদা দেয় না, তাদের খরচের মূল্য দেয় না।তাতে আপনার খারাপ লাগে ,আর এর থেকেই আপনার মনে হতাশা তৈরি হয় সন্তানের ভবিষ্যৎ সম্বন্দে ভাবলে।এছাড়াও অনেক টিনেজ ছেলেমেয়ে   মা বাবার কথা মতো পড়াশোনা করে ভালো ফল করে, বদলে  তারা আশা করে মা বাবা তাকে ভালো মোবাইল বা ভালো কিছু উপহার দেবে কিন্তু তারা যখন তা পাই না, তখন তারা রাগ দেখায় বা অভিমান করে।অর্থাৎ তাদের মধ্যে একটা প্রত্যাশার পারদ বাড়তে থাকে।আপনার বন্ধু বা কাছের মানুষের কাছে থেকে আপনার অনেক কিছুই প্রত্যাশা থাকে ,যা তারা পূর্ন করতে পারে না, আর তখনই আপনার মনে শুরু হয় হতাশা ।আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবন কাটাতে  পারি না।ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনের ধারা।কিন্তু যদি আপনি আপনার কর্তব্য করে যান।আর তারপর কোন প্রত্যাশার অপেক্ষায় না থাকেন তাহলে আপনার মনে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে না।ফলে  হতাশার কালো মেঘ আপনাকে গ্রাস করবে না।ফলে আপনি আপনার প্রাণবন্ত ও হাসি খুশি জীবন নিয়ে ছন্দে কাটাতে পারবেন জীবন।আপনার  যেটার ফল পরিশেষে বেদনায় দায়ক হয়, আর এইটাই তো স্বাভাবিক।

সাফল্যের আশা ছাড়বেন না

আমরা সবাই জীবনে সব কাজেই সফল হতে পারি না।শিক্ষা জীবনে যেমন আমাদের নানা ব্যর্থতা দেখা যায়।যেমন আশানুরূপ ফল না করা ,বা পরীক্ষায় পাশ না করতে না পারা।তেমনি ব্যক্তিগত জীবনে আমরা নানা কারণে ব্যর্থ হয়।চাকরি পেয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি না অনেকেই।আর এই নিয়ে আমাদের জীবনে শুরু হয় হতাশা।আমরা অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ি কীভাবে নিজেকে সফল করতে পারবো।আর এই থেকেই শুরু হয় হতাশা।ছিন্ন হয় আমাদের স্বাভাবিক জীবনের সুর।কিন্তু আমরা যদি বিস্তৃত ক্ষেত্রে আমাদের জীবনকে নিয়ে দেখি অনেক সফলদের জীবন খুঁজে ,তাহলে দেখব তারা তাদের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে ব্যর্থতা থেকেই।কিন্তু তাদের কাছে ছিল জেতার এক অসম্ভব ক্ষিদে।যা তাদের কখনোই হারতে দেয় নি জীবনে।বিল গেটস থেকে শুরু করে স্টিভ জোবস এমনকি মার্ক জুকারবার্গ সকলেই তাদের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করেছে নানান ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই।বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের জীবনেও এসেছে ব্যর্থতা ।কিন্তু তবুও আজ তারা সফল।অর্থাৎ আমাদের মনে রাখতে হবে ব্যর্থতা একটা দিনের ঘটনা।তার বেশি কিছু নয়।কিন্তু আমরা যদি নতুন উদ্যমে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ি ও  আমাদের ভুল থেকে  শিক্ষা নিয়ে আমাদের কাজে বা পড়ায় বা নিজের নিজের ক্ষেত্রে লেগে পড়ি তাহলে সফলতা অবশ্যই আসবে।তাই সাফল্যের জন্য ব্যর্থতাকে দায়ী করে জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ্য নষ্ট না করি।

সত্যিকে স্বীকার করতে শিখুন

আপনার যা কিছু আছে তা আপনাকে স্বীকার করতে হবে।আপনার কাছে যা নেই তা নিয়ে অলীক কল্পনা করলে আপনার মধ্যে হতাশা গ্রাস করবে তাকে পাওয়ার জন্য।হয়তো বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজন বা প্রিয় মানুষের কাছে নিজের সম্মান বা প্রভাব বা প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য আপনি মনগড়া কিছু বলে দিলেন যা সাময়িক ভাবে আপনাকে আনন্দ বা সুখ দেবে।কিন্তু তারা যখন আপনার সত্যিটা জানবে তখন আপনি তাদের কাছে প্রতারক রূপে প্রতিপন্ন হবেন ।তখন নিজের সুখের দিনে হতাশা নেমে আসবে।তাই আপনার যা আছে তা নিয়ে মিথ্যা বলবেন না বা মিথ্যা কল্পনা করবেন না। বাস্তবকে মেনে নিয়ে আমাদের সেইভাবেই সাজাতে হবে জীবনকে তাহলেই থাকবে হাসি খুশি জীবন।জীবনকে প্রাণবন্ত রাখতে গেলে মিথ্যার প্রশ্রয় দিয়ে নয় সত্যিকে স্বীকার করে এগিয়ে যেতে হবে। যেটা সত্য সেটাকে সত্য বলে মেনে নিতে হবে। অবাস্তব স্বপ্ন আপনার হতাশাকে বহুগুন বাড়িয়ে দিতে হবে।ফলে স্বাভাবিক জীবন খারাপ হবে।হতাশা দূরে রেখে জীবন কাটতে গেলে বাস্তববাদী হতে হবে।

প্রতিদিনের  বিশেষ ঘটনা লিখে রাখুন ডাইরিতে

আপনার ভালো মুহূর্তের ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ  করে রাখুন ডাইরিতে।অর্থাৎ ডাইরি লিখতে অভ্যাস করুন।এই ভালো, আনন্দের ঘটনাগুলো আপনার আগামী জীবনের পাথেয় হিসেবে কাজে লাগবে।আপনার মধ্যে হতাশা আনতে দেবে না।আপনার মনে সেই পুরানো হাসি খুশি ফিরিয়ে আনবে ।যখনই আপনি আপনার বর্তমানে হতাশ হবেন তখন আপনি সেই পুরানো ডাইরি থেকে নিজেকে ভালো রাখার রসদ খুঁজে পাবেন।অতীতে আপনি যেমন হাসি খুশিতে থাকতেন তেমনি আপনার বর্তমান ও ভবিষ্যৎও আনন্দপূর্ণ হবে।

ছেলেবেলার বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন

আজ আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি।আর এই জন্য আমাদের  ছেড়ে আসতে হয়েছে আমাদের শৈশবের বন্ধু বা জন্মভিটা।এছাড়াও স্কুল বা কলেজ জীবনে অনেক বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের অনেক ভালো সময় কেটেছে।সময়ের স্রোতে সেইসব বন্ধুদের আমরা ভুলতে বসেছি।কিন্তু আমরা যদি তাদের  সঙ্গে আবার  পুরানো সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি তাহলে আমরা নিজেদের একা ভাববো না।আমাদের অবসরের সময় বা আমাদের অবসাদের সময় আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেইসব পুরানো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারবো।ফলে আমাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে না।সাধারণত নতুন জায়গায় নতুন বন্ধুদের সঙ্গে আমরা এতটা সহজাত হতে পারি না ,যা আমরা পুরানো দিনের বন্ধুদের সাথে হতে পারি।তাই বিশেষ করে যাদের কর্মজীবন শেষ হয়ে অবসর গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে এই সময় পুরানো বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটালে তারা অনেক বেশি প্রাণবন্ত থাকতে পারেন।বাঁচার নতুন প্রাণশক্তি খুঁজে পাওয়া যায় বন্ধুদের সঙ্গে সেইসব পুরানো দিনের আলোচনায়।কথায় বলে” old is gold” আর তাই সেইসব golden দিনের আনন্দদায়ক ,হাসি, ঠাট্টায় কাটানো মানুষদের খুঁজে নিয়ে আবার শুরু করুন সেই রোমাঞ্চের জীবন । আর তাতেই দেখবেন আপনাদের জীবনে হতাশা বা অবসাদ আসবে না।জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত হবে সুখের।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান

আজকের যুগে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে আমরা নিজেদের ছেলে মেয়ে বাবা মা কে দিতে পারছি বা আমাদের মূল্যবান সময়।আর তার ফলে আমরা জানতেও পারছি না তাদের মনের অবস্থা কিরূপ।তারা কোন কোন বিষয় নিয়ে ভাবছে।বা তাদের ভালোলাগা বা খারাপ লাগা।ফলে তৈরি হচ্ছে এক জেনারেশন গ্যাপ ।আর তারই ফলে টিনেজ ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাবা মায়ের তৈরি হচ্ছে নানা অশান্তি।আর তার ফলেই জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সুখ।দুশ্চিন্তার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে জীবন।আমরা আমাদের সন্তানদের বিশ্বাস করতে পারছি না  আবার বিপরীতে সন্তানরাও তাদের মা বাবাদের সাথে খোলামেলা হতে পারছে না। ফলে সন্তানরা যেমন মানসিকভাবে  অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে নানান কারণে, তেমনি বাবা মা’ও  ভুগছে নানান দুশ্চিন্তায়।এছাড়াও বয়স্ক বাবা মা যাদের পরিবারে আছে তারা বিশেষ করে মা বাবার সাথে কাটান কিছুটা সময় তাহলে তাদের মনে শান্তি ফিরে আসবে।তারা দীর্ঘজীবী হবে।এই ভাবে সুস্থ পরিবারের মাধ্যমে আপনার জীবন থেকে দুশ্চিন্তা দূর হবে।জীবন হবে চিন্তাহীন।

 দান  করতে বা সাহায্য করতে শিখুন নিজের আয়ত্ত মতো

জীবনে আমরা বেশিরভাগই আছি যারা মধ্যবিত্ত জীবন কাটাচ্ছি।আর তাই আমাদের মনে হয় আমাদের আরও কিছু অর্জন করতে হবে।কিন্তু আমরা যদি আমাদের আয়ের কিছু অংশ আমাদের চেয়ে গরীবদের দান করতে পারি তাহলে দেখবেন মনের ভিতর তৈরি হবে এক সুন্দর অনুভূতি।আপনারা দানের মাধ্যমে যদি অন্য কেউ উপকৃত হয় তাহলে তার হাসি আপনার জীবনকেও আনন্দে রাখবে।সবসময় যে অর্থ সাহায্য করতে হবে তা কিন্তু নয়, অনেক সময় আমাদের পুরানো জমানো বই ,বা পুরানো পোশাক গরিব বা দুঃস্থদের মধ্যে দান করে জীবনকে খুশিতে ভরিয়ে রাখতে পারি। অভুক্তকে খেতে দিয়েও আমরা তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি।তবে দান বা সাহায্য করে তার বড়াই না করাই ভালো।তাতে দান বা সাহায্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।আপনি যদি অন্যের জীবনে খুশি আনতে পারেন তাহলে জানবেন আপনার জীবনেও অবসাদ আসবে না।

সবকিছুর ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

আপনার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন তাকে ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে দেখুন।হয়তো রাস্তায় যেতে যেতে আপনার গাড়ির ছোটো খাটো দুর্ঘটনা হয়ে গেল আর তাতেই আপনি গভীরভাবে চিন্তিত হয়ে গেলেন কিন্তু এই চিন্তার চেয়ে আপনার এই ভাবে ভাবলে বেশি ভালো হবে যে আরও কিছু বড়ো দুর্ঘটনাও হতে পারত আপনার সাথে, যা হয়েছে তা অল্পই হয়েছে।অর্থাৎ আপনাকে সাবধান হতে হবে।আমরা কাছে হয়তো বড় বাড়ি বা দামি গাড়ি নেই কিন্তু আমার কাছে যা আছে তাও তো অনেকের কাছে নেই ,সেই ভেবেই আমাদের সবসময় ইতিবাচক ভাবনা মনে রাখতে হবে।তবেই আমাদের চরিত্র সৎ ও চিন্তাহীন হবে।নেতিবাচক চিন্তা কোনো দিনই ভালো কিছু করতে পারে না।তা আপনার খারাপ কাজই করবে।আপনার স্বাভাবিক জীবনকে নষ্ট করবে।তাই নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে রেখে ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে জীবনকে দেখুন ,দেখবেন আপনি অনেক বেশি খুশি থাকবেন।