করোনা ভাইরাস কোথায় কতদিন বেঁচে থাকে, নতুন তথ্য উঠে এল গবেষণায়

সারা বিশ্বে এখন অস্ত্বিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চলছে। এই লড়াই মানব অস্তিত্ব বাঁচানোর। ভাইরাসের সাথে এই লড়াইয়ে এখন মানবজাতির একমাত্র হাতিয়ার প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসকে কাবু করার কোনো ওষুধ না পাওয়া গেলেও প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব।

তাই মানুষ আস্থা রাখছেন, স্যনিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভসে। গবেষকেরা বলছেন, করোনার প্রকৃতি বুঝতে পারলে তার মারণস্ত্র তৈরী করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা সেখানেই, প্রথম থেকেই করোনা বিভিন্ন চরিত্রে ধরা দিচ্ছে। এবার হংকং এর গবেষকেরা করোনা সম্পর্কে নয়া তথ্য দিল।

জ্বর সর্দি গলাব্যাথা নয়, করোনা সংক্রমনে দেখা যাচ্ছে ৫টি নতুন লক্ষণ

মাস্কে বা টাকায় করোনা কতক্ষন বেঁচে থাকতে পারে?
নতুন গবেষনা বলছে, করোনা ভাইরাস টাকার নোটে বেঁচে থাকতে পারে ১ দিন। অনেকে মনে করছেন ব্যঙ্ক থেকে তুলে আনা টাকা একেবারে নিরাপদ। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, ব্যঙ্ক থেকে তুলে আনা টাকাতেও ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। হংকং এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাস্কেও এই করোনা ভাইরাস অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে ৭দিন।

আরও পড়ুন :- ঘরোয়া পদ্ধতিতে এইভাবে বানিয়ে নিন করোনা ভাইরাসের মাস্ক

তাই ব্যংক থেকে টাকা নেওয়ার সময় কিংবা বাজার ঘাটে দোকানদারের থেকে টাকা নেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। সবথেকে ভালো গ্লাভস ব্যবহার করা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেই গ্লাভস পুড়িয়ে ফেলা প্রয়োজন। মাস্ক পড়ে বেরোলে তা বাড়ি এসে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নেওয়া নিরাপদ।

দরজার হাতল, লিফটের বাটনে কতক্ষন বেঁচে থাকে?

গবেষকেরা বলেছেন, করোনা ভাইরাস কতক্ষন বেঁচে থাকবে তা নির্ভর করবে ভাইরাসটি কোন বস্তুর সংস্পর্শে আসছে তার ওপর। এই কোভিড-১৯ ভাইরাস যদি দরজার হাতল বা লিফটের বাটনে পড়ে তাহলে তা ৪৮ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া। দরজার হাতলে হাত না দিয়ে কনুই দিয়ে দরজা খোলা যেতে পারে। লিফটের বাটন প্রেস করতে হলে হাতে গ্লাভস পড়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন :- মাস্কের নামে জাঙিয়া পাঠিয়ে পাকিস্তানকে চুনা লাগাল চিন

কাপড়ে কতক্ষন বেঁচে থাকতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাপড়ের গায়ে পড়লে করোনা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না। অর্থাৎ আপনি যদি জামাকাপড় নিয়মিত পরিষ্কার করেন তাহলে ভয়ের কোনো কারণ থাকে না।

স্টেনলেস স্টিলের উপর কতক্ষন বাঁচতে পারে করোনা?
গবেষকেরা বলছেন এই করোনা ভাইরাস স্টেনলেস স্টিলের উপর বেঁচে থাকতে পারে প্রায় ৪৮ ঘন্টা। তাই প্রয়োজন না হলে স্টেনলেস স্টিলের তৈরী বস্তুতে হাত না দেওয়াই ভালো। তবে অনেকে বাড়িতে স্টেনলেস স্টিলের বাসনে খান সেক্ষেত্রে সামান্য গরম জলে বাসন ধুয়ে নিলে আর ভয় থাকে না।

আরও পড়ুন :- জ্বর সর্দি গলাব্যাথা নয়, করোনা ভাইরাসের ৫টি নতুন লক্ষণ

সংক্রমন ছড়ানোর পদ্ধতি?
করোনার থাবা কখন কোথায়, কিভাবে পড়বে তা বোঝা অসম্ভব। করোনা এত দ্রুত ছড়াচ্ছে কমিউনিটি স্প্রেডের মাধ্যমে। এই কমিউনিটি স্প্রেডের মাধ্যম শুধুমাত্র মানুষ নয় কোনো জড় বস্তুও হতে পারে। এখন টাকা, জামাকাপড়, সিড়ির হাতল,লিফটের বাটন কোনোকিছুই নিরাপদ নয়।

তাই গবেষকেরা বলছেন যেসব জড় বস্তুতে হাত দিতেই হবে সেসব ক্ষেত্রে সার্জিকাল গ্লাভস ব্যবহার করা নিরাপদ। তবে সকল গবেষকেরাই বলছেন, করোনা থেকে বাঁচার একটাই পথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। বাইরে বেরোলে স্যনিটাইজার ও বাড়িতে থাকলে সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়া আবশ্যিক।