আমরা সকলেই নিজেকে বুদ্ধিমান বলতে পটু, আমি কত চালাক—এটা দেখানোর জন্য কীই না করে থাকি। তবে আদতে যে কতটা বুদ্ধিমান তা নিজেরাও জানিনা। আবার অনেকে বুদ্ধিমান হয়েও বোকা সাজার ভান করেন,কর্নেল ইউনিভার্সিটির এ সংক্রান্ত গবেষণাটি করেন ডেভিড ডানিং এবং জাস্টিন ক্রুগনার। তাদের এই পদ্ধতি ডানিং-ক্রুগনার ইফেক্ট নামে পরিচিতি লাভ করে। এখানে নিজের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে তার স্পষ্ট হওয়ার কিছু লক্ষণ দেওয়া হলো।
১. আপনি যদি পরিবারের বড় হন-
কথায় আছে পরিবারের বড়রা একটু বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিমতী হন। সেটা বাস্তব। তবে কোনও ভাবেই এটা জেনেটিক নয়।
২. আপনি রোগা-
2006 সালের একটি গবেষনা 2200 জন প্রাপ্তবয়স্ককে বেছে নেওয়া হয়। টানা পাঁচ বছরের গবেষনার পর দেখা যায় যাদের কোমরের মাপ যত বেশি তাদের কর্মক্ষমতা তত কম। আর আযদের কোমরের মাপ যত কম তাদের বুদ্ধি ও কর্মক্ষমতা তত বেশি।
আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির “ফ্যাট থেকে ফিট” হওয়ার রহস্য ফাঁস
৩. পোষ্য থাকলে-
চার বছর আগের একটি গবেষনায় দেখা গেছে যাদের কুকুর, বেড়াল জাতীয় পোষ্য পোষার শক আছে বা নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন তাদের বুদ্ধিমাত্রার মান তত বাড়ে।
৪. মায়ের বুকের দুধ খেয়ে থাকলে-
কথাতেই আছে মায়ের বুকের দুধের থেকে বেশি পুষ্টি কোনো জিনিসে নেই। মায়ের বুকের দুধ যারা খেয়ে তাদের বুদ্ধির মাত্রা অনেক বেশি। ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডের তিনশোটি শিশুর ওপর গবেষনা চালিয়ে দেখা গেছে যারা মায়ের বুকের দুধ খেয়েছেন তাদের বদ্ধির মাত্রা যারা খাননি তাদের তুলনায় অনেক বেশি।
৫. লম্বা-
2008 সালে প্রিস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষনার পর জানিয়েছেন যারা আকারে লম্বাটে হন তাদের বুদ্ধির মান অনেক বেশি হয়।
৬. মজার মানুষ-
এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দুঃখের সময়েও হাসখুশিতে থাকেন, দুঃশ্চিন্তা না করে সবকিছুকেই হাসিমুখে মেনে নেন, এদের বুদ্ধির মান অনেক বেশি। এদের সেন্স অফ হিউমর অনেক বেশি।
আরও পড়ুন : জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
৭. আগ্রহী-
ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের বিসনেস সাইকোলজির প্রফেসর টমাস জানিয়েছেন যারা একটু জানতে আগ্রহী হন তাদের বুদ্ধির মান অনেক বেশি হয়।
৮. রাত জাগতে ভালোবাসলে-
দ্য অফিসিয়াল জার্নাল অফ দ্য ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অফ ইন্ডিভিডুয়াল ডিফারেন্সেস –এর এক গবেষনায় দেখা গেছে যারা যত বেশি রাত জেগে থাকেন তাদের বুদ্ধি তত বেশি হয়।
আরও পড়ুন : রাত্রে ঘুম আসে না ? জেনে নিন ৫ মিনিটে ঘুমিয়ে পড়ার ১০ টি উপায়
৯. ঘুরে বেড়ালে-
যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের বুদ্ধি তত বেশি হয়। হেঁটে ঘোরার অভ্যাস থাকলে বুদ্ধিতত বেশি হবে।
১০. কঠোর চেষ্টা করেন না-
যারা একটু কুঁড়ে হন তাদের মাথায় যে সবসময় বুদ্ধি কম হয় এমনটা নয়। এরা আবার সহজেই কাজ হাসিল করতে পারেন।