রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে আর কতটা গ্যাস বেঁচে আছে বুঝবেন কীভাবে

GAS Cylinder

বর্তমানে জালিয়াতির মাত্রা এত বেড়েছে যে আপনার গ্যাস সিলিন্ডার যাতে ভর্তি অবস্থায় গ্যাসের পরিমান ১৪.২ কেজি থাকা দরকার সেখানে হামেশাই পরীক্ষা করে দেখার সময় ১০ কেজি বা তার কিছু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে গ্যাসের সিল করা সিলিন্ডারেও চলছে জালিয়াতি। অনেকে সিলিন্ডার ঝাঁকিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন কতটা গ্যাস আছে, কিন্তু তাতেও সঠিক আন্দাজ পাওয়া মুশকিল হয়। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে একটি সমস্যায় অনেকেই পড়েন।

কারণ, আগে থেকে বুঝতে না পারায় অনেক সময়েই রান্না করতে করতেই সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে যায়। বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে ভাল, না থাকলে ভোগান্তি আরও বাড়ে। সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস আছে একটি ভিজে কাপড়ের সাহায্যে তা সহজেই বোঝা সম্ভব। কী সেই পদ্ধতি?

মধ্যপ্রদেশের সায়েন্স কলেজের অধ্যাপক বিজেন্দ্র রায় এই পদ্ধতিটির আবিষ্কার করছেন। তার মতে গ্যাস সিলিন্ডারের ভিতর কতোটা গ্যাস আছে তা জানতে হলে, প্রথমেই তা একটা ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তবে মনে রাখবেন এমনভাবে মুছবেন যাতে সিলিন্ডারের গায়ে লেগে থাকা ময়লা, ধুলো বালি যেন পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই দেখতে পাবেন সিলিন্ডারের গায়ে লেগে থাকা জলের কনা শুকাতে শুরু করেছে বাস্পায়নের সাধারণ নিয়মে।

এইভাবে কিছু সময় অর্থাৎ এক দুই মিনিট যাওয়ার পর দেখবেন সিলিন্ডারের কিছু অংশ একদম শুকিয়ে গিয়েছে এবং কিছু অংশ এখনো জলের কনা দ্বারা ভিজে আছে। সেই অংশের জল শুকাতে অন্য অংশের তুলনায় বেশি সময় লাগছে। প্রফেসরের বক্তব্য অনুযায়ী, সিলিন্ডারের নীচে থেকে ওই অংশ যেখান পর্যন্ত জল ভালো ভাবে শুকায় নি, ওই অংশেই গ্যাস বর্তমান বলে ধরে নিতে হবে।

আর যে অংশে জল শুকিয়ে গিয়েছে সেই অংশে আর গ্যাস নেই বলে ধরে নিতে হবে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হিসেবে প্রফেসরের মতে সেই অংশ যেখানে কোন তরল থাকে সেখানকার তাপমাত্রা সাধারণত কম হয়, তরল না থাকা অংশের তুলনায়। সিলিন্ডারের মধ্যে যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকৃত অবস্থায় আছে উচ্চচাপে। তাই তরল গ্যাস থাকা অংশের বাইরের তল তাড়াতাড়ি বাস্পায়ন করতে পারছে না। ফলে ভিজে অংশ তাড়াতাড়ি শুকায় না।

অন্যদিকে যেখানে আর গ্যাস তরল অবস্থায় নেই, সেই অংশের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকায় তার বাইরের অংশে লেগে থাকা জল তাড়াতাড়ি বাষ্পীভূত হচ্ছে। আর এইভাবেই গ্যাস জালিয়াতি সহজে ধরতেও পারবো। তাই এই বিশেষ পদ্ধতি নিজে পরীক্ষা করে দেখুন এবং সঠিক হলে অন্যকে জানান এবং শিখিয়ে দিয়ে গ্যাসের জালিয়াতি প্রতিরোধ করুন।