আসল চার্জার আর নকল চার্জার চেনার উপায়

চার্জার ছাড়া প্রযুক্তিপণ্য ভাবাই যায় না। বাজারে অনেক ধরনের চার্জার পাওয়া যায়। জানলে অবাক হবেন, শত শত চার্জারের ভিড়ে কার্যকর চার্জারের সংখ্যা খুবই নগণ্য। পথেঘাটে, এমনকি অভিজাত বিপণিবিতানেও রয়েছে নকল চার্জারের বিশাল বাজার। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। এসব চার্জার ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারীই ঝুঁকির মধ্যে আছেন। নকল চার্জারের সমস্যা বর্তমানে বেড়ে চলেছে, কোম্পানির নাম করে অনেক ছোট খাট সংস্থা নকল চার্জার তৈরি করেন। ফলে কোম্পানির দামি অ্যান্ড্রয়েডে ব্যবহার করে মোবাইলের যেমন বারোটা বাজছে তেমনি কয়েকদিনের মধ্যে লোড টানতে না পেরে মোবাইলের চার্জারটিরও বারোটা বাজছে। শুধু তাই নয় বিদ্যুতের শক লাগার ঘটনাও ঘটে চলেছে। দোকানের থেকে অনলাইনে চার্জার কেনায় নকল চার্জার পাওয়ার খবর মিলেছে।

সাম্প্রতিক, এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। চারশ নকল চার্জারের মধ্যে মাত্র তিনটি চার্জারে বৈদ্যুতিক শক ঠেকাতে যথেষ্ট প্রতিরোধোক ব্যবহার করা হয়। যার ফলে অনেকে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করেছেন তদন্তকারীরা। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস সংস্থাগুলির মধ্যে নকল চার্জার বিক্রির প্রবনতা বেড়েছে।

আসল চার্জার আর নকল চার্জার চেনার উপায়

প্লাগ পিন

নতুন চার্জার এনে প্লাগে সরাসরি প্রবেশ করাতে গিয়ে যদি খাপ না খায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি নকল। কারণ নকল হলেই পিনগুলো ভুল বানানো হয়ে থাকে। পিন-এর ধার আর চার্জারের ধারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকতে হবে।

মার্কিং

চার্জারের মধ্যে উত্পাদনকারী  সংস্থার নাম, লোগো বা ব্যাচ নাম্বার এবং ভালোভাবে সেই জায়গাটি পরখ করা দরকার। কারণ, একটু উল্টো হলেই বুঝতে হবে নকল।

সতর্কতা ও নির্দেশনা

ইউজারদের নির্দেশনায় শর্ত আর ব্যবহারের নীতিমালা দেওয়া থাকতে হবে। নিরাপদে ব্যবহার করা দরকার।

চার্জার সকেট

চার্জার সকেট বা মাল্টিপ্লাগের প্লাগের ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায় ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। পিনের আর চার্জারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকতে হবে। এমন না হলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।

চার্জার গরম হওয়া

নকল চার্জার দিয়ে দিনে ২-৩ বার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জারের ক্ষেত্রে দ্রুত গরম হয় না।

ইউএসবি কেবল

নকল চার্জারের চার্জিং পিন আসল চার্জারের ফিনের থেকে অনেক বড় হয়।