এই ২টি কারনেই ডিভোর্সি হয়েও আজও সিঁথিতে সিঁদুর পরেন মহাভারতের দ্রৌপদী

শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী নন, রাজ্যবাসীর কাছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Rupa Ganguly) পরিচয় তিনি বঙ্গ বিজেপি দলের একজন দাপুটে নেত্রী। শুধু বিরোধীরাই নন, রুপাকে সমঝে চলেন তার নিজের দলের সদস্যরাও। তার ঠোঁটকাটা মন্তব্য তাকে বারবার প্রচারের আলোকে এনেছে। শুটিং সেট হোক বা রাজনীতির ময়দান, ভনিতা বিশেষ পছন্দ নয় রূপা গাঙ্গুলির। তিনি যা ভাবেন, সোজাসাপ্টা বলে দেন। কোনও রাখঢাক করেন না। চরিত্রের এই দিকের জন্য অনেকের কাছেই তার ইমেজ মন্দ। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার নেত্রী।

আজীবন নিজের শর্তমতে চলে এসেছেন। তার নিন্দুকের সংখ্যা কম নয়। তবে নিন্দুকের কথায় কান দেন না রুপা। জীবনের চাওয়া-পাওয়া নিয়েও বিশেষ ভাবতে নারাজ। সংবাদ প্রতিদিনের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জীবনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ”দুটোই একশো! জীবনে কী কী পাইনি তা নিয়ে ভাবতে বসলে, বড্ড কষ্টে জীবন কাটবে। তার থেকে কী কী পেয়েছি তার হিসেব রাখা ভাল।”

মহাভারতের দ্রৌপদী টেলিভিশনের পর্দা হোক বা সিনেমার পর্দা, একসময়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। তবুও ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন সুযোগ আসেনি তার ঝুলিতে। দর্শকের কাছে অত্যন্ত পছন্দের অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও খুব বেশি ছবিতে কাজের সুযোগ হয়নি। শুধু অভিনয় নয়, অসাধারণ গানও করতে পারেন রুপা। ‘অবশেষে’ ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। এই গায়কী তাকে এনে দিয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। এ তো গেল রূপার কেরিয়ারের কথা, যা কম বেশী সকলেরই জানা।

তবে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রয়েছে বহু জল্পনা। বিশেষত রূপার সম্পর্কে প্রেম-বিয়ে নিয়ে বহু জল্পনা রয়েছে। অভিনেত্রী বিবাহিতা, নাকি অবিবাহিতা, নাকি বিবাহবিচ্ছিন্না? রুপার অনুরাগীরা জানেন, তার স্বামী ধ্রুব মুখার্জির সঙ্গে বহুদিন আগেই তার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। শোনা যায়, তিনি নাকি গায়ক দিব্যেন্দু্র সঙ্গে লিভ-ইনে রয়েছেন। ডিভোর্সী, রূপা তবুও সিঁদুর পরেন। কার জন্য? প্রশ্ন ভাবায় সাধারণকে। এতদিনে সেই রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নিজেই।

আরও পড়ুন :- পাননি দাম্পত্য সুখ, মহাভারতের দ্রৌপদী বেছে নিয়েছিলেন আত্মহত্যার পথ 

রূপার কথায়, “দুটো কারণে আমি সিঁদুর পরি। এক, আমার পরিবারের সুস্থতা যাঁরা কামনা করেন, তাঁরা যেন ভাল থাকেন। আর দ্বিতীয়, নিজেকে সিঁদুর পরে দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।” রূপার এই অভ্যাস নিয়ে তাকে বহুবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে সেসব নিয়ে ভাবিত নন রূপা। নিন্দুকদের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মহাভারতের দ্রৌপদীর জবাব, “এক সময় তো আমার মুখের ব্রণ দেখেও লোকে নানা কথা বলত! আমি সবার সুস্থতা কামনার জন্য সিঁদুর পরি। আমার সিঁদুর পরতে ভাল লাগে।”

আরও পড়ুন :- এই একটি কারণেই বিধবা হয়েও সিঁথিতে সিঁদুর পরেন রেখা