‘চাকচিক্যই আছে, অন্তঃসার শূন্য’, কত আয় করলো রণবীর করণের ৫০০ কোটির ‘ব্রহ্মাস্ত্র’

অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেল ভারতবর্ষের সুপার হিরো ভিত্তিক ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (Bramhastra)। অয়ন মুখার্জির এই ছবিটিকে নিয়ে গোটা বলিউড ছিল আশাবাদী। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুন, মৌনি রায়, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাটের মত স্টারকাস্ট রয়েছে। বিশ্বমানের ভিএফএক্স যে ব্যবহার করা হয়েছে তা ট্রেলারেই ছিল সুস্পষ্ট। এই ছবি হলে কতটা ম্যাজিক সৃষ্টি করতে পারলো?

পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে ৯ই সেপ্টেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। বলিউড নিয়ে যতই বয়কটের ট্রেন্ড চলুক না কেন, এই ছবিটির প্রতি আগ্রহী ছিলেন দর্শকরা। তবে ছবির যে প্রাথমিক রিভিউ বেরিয়ে এসেছে তারপরে আর কেউই ঠিক আশাবাদী হতে পারছেন না। দর্শকদের মত, পাঁচ বছর ধরে যে ছবি তৈরি করা হয়েছে, পাঁচ দিনে কোনও ছবি তৈরি হলে এর থেকে নিঃসন্দেহে ভাল হত!

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জলের মত টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে ‘অস্ত্রভার্স’ এর প্রথম ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। নির্মাতারা হলিউডের ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ এর মত ‘সাগা’ বানাতে চাইছিলেন। ছবির শুটিং করতে গিয়েই রণবীর-আলিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। প্রেম থেকে বিয়েও হয়ে যায় ‘রণলিয়া’র। আলিয়া এখন অন্তঃসত্ত্বা। শীঘ্রই তাদের সন্তান আসতে চলেছে। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি বলিউডের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে আশা করেছিলেন ছবি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখন তো তারাও হতাশ!

কেমন হল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’? সমালোচকদের মতে, নির্মাতারা আসলে ছবি নিয়ে যা কল্পনা করেছিলেন, তা কল্পনার স্তরেই রয়ে গিয়েছে! বলিউডের ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শও খুবই হতাশ হয়েছেন। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি দেখার পর তিনি একটি শব্দের রিভিউ দিতে গিয়ে বড় বড় অক্ষরে লিখলেন, “DISAPPOINTING”। এই ছবি দেখে হতাশা ছাড়া কিছুই মনে হয়নি তাই। ছবিটিকে তিনি রিভিউ হিসেবে পাঁচের মধ্যে কেবল ২টি স্টারের যোগ্য বলেই মনে করেছেন।

তরণ আদর্শ তার রিভিউতে লিখেছেন, “ব্রহ্মাস্ত্র’ এক বিরাট বড় হতাশা…প্রচুর ভিএফএক্সের কাজ আছে, কিন্তু বিষয়বস্তু দুর্বল (বিশেষ করে ইন্টারভ্যালের পর)… ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ গেম চেঞ্জার হতে পারত, কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে… কেবলই চাকচিক্য রয়েছে, ছবিতে আত্মা নেই…।” তরণ আদর্শের এই রিভিউ পড়ে কার্যত যারা ছবিটি দেখেননি তারাও হতাশা বোধ করছেন।

ছবিটি বানাতে প্রযোজক করণ জোহারের পকেট থেকে ৫০০ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। প্রথম পার্ট ‘শিবা’র পর এখনও নাকি আরও দুটি গল্প রয়েছে বাকি। তবে হল ফেরত সমীক্ষায় দর্শকদের যে মতামত ধরা পড়ছে তা খুব একটা ছবির পক্ষে যাচ্ছে না। ভারতে ৫০১৯টি হলে ছবি মুক্তি পেয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী আরও ৩৮৯৪টি হলে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তি পেয়েছে। সর্বত্রই দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উদ্দীপনার থেকে হতাশাই ধরা পড়ছে। ছবিটি বক্স অফিসে কেমন ফলাফল করে সেটাই এখন দেখার।