পারলো না বলিউড, বাঙালির রত্নকে লুফে নিল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি, বড়পর্দায় আসছে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দ মঠ’

সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, বন্দেমাতরম গান, ‘হরে মুরারে মধুকৈটভারে’ ডাক, বঙ্কিমচন্দ্রের (Bankimchandra Chattopadhyay) কালজয়ী উপন্যাস আনন্দমঠের (Anandamath) প্রতিটা ছত্র রোমাঞ্চিত করে শরীরকে। এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। যারা আনন্দমঠ পড়েছেন তারা ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সম্পর্কে জেনেছেন, বুঝেছেন, শিহরিত হয়েছেন। এবার বাংলার এই অমূল্য সম্পদ, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কালজয়ী উপাখ্যান শুনবে গোটা দুনিয়া।

‘বাহুবলী’, ‘আর আর আর’ এর পর এবার ভারতীয় সিনেমার আরও একটি বড় বাজেটের ছবি আসতে চলেছে। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস অবলম্বনে আসছে, আসন্ন ছবি ‘১৭৭০’। ‘বন্দে মাতরম’ সৃষ্টির ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আবার এক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিতে চলেছেন ‘রাজামৌলি’‌। এই খবরে শিহরিত হচ্ছেন প্রত্যেক বাঙালি।

বলিউড যা করে দেখাতে পারল না তাই করে দেখাচ্ছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বলিউডের বিরুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে অপসংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই জায়গায় সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারক-বাহক বলে মনে করছেন তারা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে সেই ছবির ফার্স্ট লুক।

ছবির ফার্স্ট লুকে যেমনটা দেখা যাচ্ছে একাই এক সন্ন্যাসী যোদ্ধা তরোয়াল হাতে নিয়ে ব্রিটিশ সেনার বন্দুকের মুখোমুখি হয়েছেন। এই অ্যানিমেটেড ছবি এক লহমায় নেটিজেনদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে সেই ১৭৭০ সালে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে। একইসঙ্গে জানা গেল ছবির কাস্টিংয়ের কথাও।

Bengali poster Designer Ekta Bhattacharjee Designed Upcoming South Indian Movie 1770 Poster

বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই ছবিতে বলিউড এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় তারকাদের নেওয়া হবে। যেমন মহেন্দ্রর ভূমিকায় থাকবেন প্রভাস। তার স্ত্রী কল্যাণীর ভূমিকায় থাকবেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ভবানন্দের ভূমিকায় রয়েছেন রামচরণ। আর স্বামী সত্যানন্দের ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকার।

একদিকে মুসলমানদের আগ্রাসন, অন্যদিকে বিদেশি ইংরেজ শাসকদের অত্যাচার, জোড়া শত্রুর বিরুদ্ধে হিন্দু জাগরণের সত্য ঘটনা অবলম্বনে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গের সন্ন্যাসী আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে এই কালজয়ী উপন্যাস লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র যা আজও দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে। এই উপন্যাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন ইংরেজ শাসকরা। তবে দেশভক্তদের কাছে আগুনের মত ছড়িয়ে পড়েছিল এই উপন্যাস, সর্বোপরি ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান এবং গান বিদেশি শাসকদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।