কোন কোন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা হয় দেখে নিন

বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত মোট তিনটি পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রথম দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা সরাসরি জানতে পারা যায়। আরেকটি পরীক্ষার মাধ্যমে আগে কেউ করোনা আক্রান্ত ছিল কিনা তা জানা যায়। চলুন জেনে নিন কিভাবে করা হয় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা।

১. আরটিপিসিআর জেনেটিক টেস্ট

করোনা শনাক্তকরণে জেনেটিক পদ্ধতি সবথেকে কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির দেহে কভিড-১৯ এর জিনগত কোন উপাদান উপস্থিত আছে কিনা তা জানা যায়। ব্যক্তির নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেটিকে ল্যাবে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। সংগৃহীত নমুনাটিকে আরটিপিসিআর বা রিয়েল-টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমার্স চেইন রিয়েকশন যন্ত্রে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষা করতে ল্যাবগুলোতে সাধারণত কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে এবং ফলাফল পেতে কমপক্ষে এক দিন লাগে।

২. র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

এই পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাস সরাসরি সনাক্ত করা সম্ভব। এটি একটি নতুন ধরনের পরীক্ষা যা সম্প্রতি আইসিএমআর তরফ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের উপরিস্থলের প্রোটিন আছে কিনা তা জানা যায়। জেনেটিক পদ্ধতির মতো এই পদ্ধতিতেও নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেহে ভাইরাসের উপস্থিতির পরীক্ষা করা হয়।

Rapid Antigen Test

জেনেটিক পরীক্ষার মতো অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অতটা নির্ভুল নয়। তবে তা সস্তা, দ্রুত ও পরীক্ষাগারের খুব বেশি সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের পরীক্ষার জন্যও একজন পেশাদার চিকিৎসকের মাধ্যমে নাকের ভেতরের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। এই পদ্ধতিতে নিখুঁত ফলাফল সবসময় পাওয়া যায় না, তবে অল্প খরচে দ্রুত এই পরীক্ষাটি করা সম্ভব।

আরও পড়ুন : কীভাবে করোনা টেস্ট করা হয়, করোনা টেস্ট কত রকমের ও কি কি

৩. অ্যান্টিবডি টেস্ট

করোনা ভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল অ্যান্টিবডি টেস্ট। ভাইরাস দেহে ঢুকলে কিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় তাই এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয় যে দেহে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি রয়েছে কিনা। করোনার সংক্রমণ সাধারণ মানুষের মধ্যে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে তা জানার জন্য সাধারণত এই পরীক্ষাটি করা হয়ে থাকে। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে প্রতিটি কনটেনমেন্ট এলাকাতে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।