এই একটি পদ্ধতি অনুসরণ করেই রাতারাতি ১৫ কেজি ওজন কমালেন ভারতী সিং

হেভিওয়েট নিয়ে কোনদিনই বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না ভারতী সিংয়ের (Bharti Singh)। তিনি তার মোটাসোটা চেহারা নিয়েই খুশি। আবার হেভিওয়েট ভারতীকে নিয়ে দর্শকেরও তেমন কোনও নাক উঁচু মনোভাব কোনদিনই ছিল না। আদতে কমেডিয়ান ভারতীর গোলগাল চেহারাই যেন তার প্রধান ইউএসপি ছিল। কিন্তু দর্শককে অবাক করে দিয়ে রাতারাতি ওজন কমিয়ে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন ভারতী সিং।

রীতিমতো যেন এক চুটকিতেই ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেললেন ভারতী! ভারতীর চেহারার এই অপ্রত্যাশিত বদল দেখে নেটিজেনের চোখ কপালে উঠেছে। সকলেই এখন ভারতীর এই ফিটনেস রহস্য জানতে চান। ৯১ কেজি থেকে ওজন কমিয়ে ৭৬ কেজিতে নামানো, বড় সহজ কথা নয়। ১-২ কেজি ওজন কমাতেই যেখানে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় সেখানে ভারতীর চেহারার এই পরিবর্তন সত্যিই নেটিজেনদের অবাক করে দিয়েছেন।

কীভাবে ফ্যাট থেকে ফিট হলে ভারতী সিং?

অভিনেত্রীর ফিটনেসের রহস্য কী? ভারতী জানালেন, ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (intermittent fasting) তার ওজন কমানোর একমাত্র রহস্য। আসুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কী এই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (intermittent fasting)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল এমন এক ধরনের ডায়েট যেখানে একটানা দীর্ঘক্ষণ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। নারী-পুরুষ ভেদে এই সময়ের মেয়াদ হয় আলাদা।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কি?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে সাধারণত দিনের মধ্যে ১০ ঘন্টা থেকে শুরু করে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা যেতে পারে। অনেকেই আবার এই সময়কালে জলস্পর্শ করেন না। যাকে বলে ড্রাই ফাস্টিং। তবে ড্রাই ফাস্টিং করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক। নইলে ফল হবে উল্টো।

ভারতী সিং এর ডায়েট চার্ট

এমনই এক কড়া ডায়েট মেনে ভারতী তার চেহারার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমি সন্ধ্যা ৭ থেকে পরদিন দুপুর ১২টা অবধি খাই না, এরপর দুপুর ১২টা বাজলেই খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাতটার পর ডিনার, এমনিতেও আমার শরীর সহ্য করে না। আমি ৩০-৩২ বছর প্রচুর খেয়েছি, এরপর একটু শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় এসেছে। শরীরও ধীরে ধীরে সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছে”।

শরীরের এই পরিবর্তনে ভারতী বেশ খুশি। এখন আয়নায় নিজেকে দেখলে তার গর্ব হয়। একইসঙ্গে শারীরিকভাবেও তিনি নিজেকে বেশ ফিট মনে করছেন। ভারতীর শরীরে থাইরয়েড এবং আস্থমার সমস্যা রয়েছে। ভারী চেহারায় সেই সমস্যা আরও বেশি ছিল। এই সমস্যা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারতী জানিয়েছেন, “এখন শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় না, অনেক হালকা মনে হয় নিজেকে। আমার অ্যাস্থমা আর ডায়াবেটিসের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে”।

কী বলছেন ভারতীর স্বামী?

ভারতী জানিয়েছেন, তার এই ট্রান্সফর্মেশন হর্ষের মোটেই পছন্দ নয়। তিনি বরং তার আগের চেহারাটাই মিস করছেন। তার প্রধান সমস্যা হলো তিনি এখন আর ভারতীর ভুঁড়ি নিয়ে খেলতে পারছেন না! এছাড়াও বর্তমানে বাইরের খাবার খাওয়া ভারতী একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন। হর্ষের সেটাও না পসন্দ। বর্তমানে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ এবং ‘ডান্স দিওয়ানে’-তে দেখা যাচ্ছে ভারতীকে।