ঐশ্বর্য-অভিষেকের মধ্যে কে বেশি ধনী, কার সম্পত্তির পরিমাণ সব থেকে বেশি

বলিউডের (Bollywood) বহুলচর্চিত জুটিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) এবং অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। বলিউডের সম্পর্ক ভাঙ্গা-গড়ার পরিস্থিতির মধ্যে অটুট রয়েছে তাদের সম্পর্ক। বলতে গেলে বলিউডের পাওয়ার কাপল হয়ে রয়েছেন তারা। বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও একজন নামী তারকা।

ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের কেরিয়ার ঘাঁটলে দেখা যায় বচন পরিবারের পুত্রবধূ জুনিয়র বচ্চনের তুলনায় অনেকাংশে এগিয়ে আছেন। তিনি ছিলেন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয়ী। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির হাত ধরে বলিউডে তার এন্ট্রি হয়। অন্যদিকে তার ঠিক এক বছর পর ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেন অভিষেক বচ্চন।

অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া ভাদুড়ি বচ্চনের পরিবারে ধনসম্পত্তির অভাব নেই। তবে ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যকে বিয়ের করার পর থেকেই বচ্চনদের ধন সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অভিষেক এবং ঐশ্বর্য দুজনেই এখন মোটা টাকা উপার্জন করছেন বলিউড থেকে। মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিষেকের বার্ষিক উপার্জন এখন প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

অন্যদিকে বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ঐশ্বর্য ছবির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন অনেক। এখন তিনি বেছে বেছে ছবিতে অভিনয় করেন এবং প্রত্যেক ছবির জন্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। তবে ছবিতে যদি তার চরিত্রটি বড় হয় তাহলে সেই অনুপাতে পারিশ্রমিকও বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ঐশ্বর্যের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ৭৭৬ কোটি টাকা।

 

অন্যদিকে অভিষেক বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২২৩ কোটি ৩০ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। এছাড়াও তাদের পারিবারিক সম্পত্তি তো রয়েইছে। বিনোদনের পাশাপাশি খেলার উপরেও বেশ আগ্রহ রয়েছে অভিষেকের। প্রো কাবাডি লীগের জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার টিম কিনে নিয়েছেন তিনি।

Abhishek Bachchan sells luxury Worli flat for Rs 46 crore

শুধু তাই নয়, ISL Chennayin FC কিনে নিয়েছেন জুনিয়র বচ্চন। এই দুটি টিম থেকেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন তিনি। এছাড়া ঐশ্বর্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। সেই সঙ্গে বিশ্ব সুন্দরীর একাধিক ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে বিনিয়োগও রয়েছে। তবে হিসেব করলে দেখা যায় অভিষেকের থেকে ঐশ্বর্যের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক গুণ বেশি।