৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে হয়ে যান লাখপতি, রইল ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে চাকরি-বাকরির যে দশা চলছে তাতে নিজস্ব ব্যবসাতেই নিরাপত্তা খুঁজে পাচ্ছেন অনেক সাধারণ মানুষ। এখন এই অনলাইনের যুগে বাজারে রয়েছে এমন দুর্দান্ত বেশ কিছু ব্যবসার আইডিয়া যেখানে কম খুঁজিতে দারুণ লাভ করা যায়। যদি আপনার কাছে মাত্র ১০ হাজার টাকা থাকে তাহলেই আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার কম লগ্নিতে ২৫টি ব্যবসার হদিশ রইল আজকের এই প্রতিবেদনে।

অনলাইন শিক্ষকতা : আপনি যদি পড়াতে আগ্রহী হন তাহলে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে কোনও বিনিয়োগ ছাড়াই উপার্জন করতে পারবেন। অংক, বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষা, আঁকা, প্রোগ্রামিং, বাদ্যযন্ত্র, মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে কোর্স করে মাসে মাসে মোটা টাকা পেতে পারেন। এ ছাড়া অনলাইন বিভিন্ন পোর্টালেও (যেমন ইউডেমি) শিক্ষকতা করার সুযোগ রয়েছে।

খাবারের হোম ডেলিভারি : রান্নার হাত ভাল হলে খুলে ফেলুন খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা। নিজেই বাড়িতে রান্না করে বাড়ি বাড়ি সময় মত সুস্বাদু খাবার পৌঁছে দিলে গ্রাহকের অভাব হবে না। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই বাড়িতে বসে মাস গেলে হাজার হাজার টাকা লাভের মুখ দেখবেন।

ট্রাভেল এজেন্সি : যদি আপনার হাতে পুঁজি কম হয় তাহলে ট্রাভেল এজেন্সিও খুলে ফেলতে পারেন। বাসের টিকিট বুকিং করেও ভালই উপার্জন হবে। হোস্ট এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে স্বল্প মূলধনে ব্যবসা করতে পারবেন।

ট্যুর গাইড : বর্তমানে সব থেকে লাভজনক ব্যবসা হল এই ট্যুর অপারেটিংয়ের ব্যবসা। ভ্রমণ প্রেমী বাঙালির হয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট, ট্রেনের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে যদি সম্পূর্ণ ট্যুর প্ল্যান করেন তাহলেও কিন্তু ভাল উপার্জন করতে পারবেন। অফিস, স্কুল বা কলেজ ট্যুর করাতে পারলে ব্যবসা থাকবে বাঁধাধরা।

কাস্টমাইজড গয়না তৈরি : ১০ হাজার টাকার কম বিনিয়োগ করে বাড়িতে বসে বানিয়ে ফেলতে পারবেন কাস্টমাইজড গয়না। অনলাইনে ব্যবসা করে রাজ্যের মধ্যে এমন কি রাজ্যের বাইরেও ব্যবসা ছড়ানোর সুযোগ পাবেন। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে একটু খোঁজ নিলেই এই ধরনের গয়না তৈরির উপকরণ পাওয়া যায়।

অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রীর ব্যবসা : দেশে হস্তশিল্পের যেমন বিপুল সম্ভার রয়েছে তেমন চাহিদাও রয়েছে। দশ হাজার টাকায় ছোট ছোট ঘর সাজানোর সামগ্রী কিনে এনে বিক্রি করতে পারেন অনলাইনে। কম বিনিয়োগে ভালই লাভ পাবেন।

দর্জির দোকান : উপযুক্ত দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা থাকলে ক্রেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিজাইন আর মাপ নিয়ে এসে বাড়িতে বানিয়ে পোশাক বানাতে পারেন। এতেও ভালই লাভ থাকবে আপনার হাতে।

বিউটিশিয়ান : কম পুঁজিতে ইদানিং বহু মহিলাই বিউটিশিয়ানের পেশা বেছে নিয়েছেন। পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকরণ কিনে ফেলুন আর প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিওর, ম্যানিকিউর, অয়েল ম্যাসাজ, ওয়াক্সিং করে প্রচুর উপার্জন করতে পারবেন।

বিদেশী ভাষা শিক্ষা : যদি আপনার বিদেশী ভাষা জানা থাকে তাহলে তা ব্যবসার কাজেও লাগাতে পারেন। ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বিদেশী ভাষা শেখাতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিং : ইংরেজি ভাষার উপরে যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করতে পারবেন। ইদানিং বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেও কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিনা বিনিয়োগে ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন এই ব্যবসা থেকে।

ইউটিউব চ্যানেল : শিক্ষামূলক ভিডিও, রান্নাবান্না, লাইফ হ্যাকস থেকে বেড়ানো, ইত্যাদি বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন ইউটিউব চ্যানেলে। দর্শকদের পছন্দ হলে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাওয়া যায়।

অনুবাদের ব্যবসা : কাগজ, মেডিকেল নথি, মোবাইল অ্যাপ বা গেমিংয়ের ক্ষেত্রে অনুবাদের প্রয়োজন। আপনার যদি বিভিন্ন ভাষা জানা থাকে তাহলে আপনি সিনেমা কিংবা টিভি সিরিজের সাবটাইটেল অনুবাদ করতে পারবেন। অনুবাদ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায়।

গ্রাফিক ডিজাইনিং : কম্পিউটার এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার থাকলে ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইনিং করেও উপার্জন করতে পারবেন। ইদানিং গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কাজের চাহিদা প্রচুর বেড়েছে।

ওয়েডিং প্ল্যানার : বিয়ে বাড়ির ভাড়া থেকে ডেকোরেশন, খাওয়া-দাওয়া থেকে বিয়ের কার্ড ছাপানো, কনের সাজ থেকে ফটোগ্রাফি, সমস্ত কিছুর দায়িত্ব যদি নিতে পারেন তাহলে খুলে ফেলুন একটি ওয়েবসাইট। দশ হাজার টাকারও কম বিনিয়োগে পাবেন ভাল ব্যবসার সুবিধা।

অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি : বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেও ভাল উপার্জন করতে পারবেন। কলেজস্ট্রিটে বহু দুষ্প্রাপ্য বাংলা বই পাবেন। নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ফেসবুকের মাধ্যমে সেই বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যখন যেমন অর্ডার পাবেন তখন সেই মত বই কিনে আনলেই হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট : বড় বড় কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব কর্মী হতে পারলে বিনা বিনিয়োগে বাড়িতে বসে উপার্জন করতে পারবেন। এখানেও থাকছে ব্যবসার দারুণ সুযোগ।

মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা : কম টাকাতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দিন। শহরাঞ্চল এবং শহরতলীতে পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। পরিশ্রম করতে পারলে তার মূল্যও পাবেন।

মোবাইল রিচার্জের দোকান : অনলাইন রিচার্জ করালেও উপার্জন হবে। অত্যন্ত কম খরচে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হলে পাবেন কমিশন রেট।

টিফিন ডেলিভারি : খাবারের হোম ডেলিভারির পাশাপাশি টিফিন ডেলিভারির ব্যবসারও বেশ চাহিদা রয়েছে। উন্নত গুনমানের খাবার তৈরি করতে পারলে বিভিন্ন অফিস থেকে ডাক পাবেন।

চায়ের দোকান : আর পাঁচটা সাধারণ চায়ের দোকানে তুলনায় যদি একটু খরচ করে রং দিয়ে দেওয়াল, টেবিল-বেঞ্চ মনোরম করে সাজিয়ে তুলতে পারেন, চায়ের সঙ্গে কিছু মুখরোচক স্নাক্স থাকে তাহলেই জমে উঠবে ব্যবসা।

ফুড ভ্যান : ছোট ফুড ভ্যানে রোল, চাওমিন, বার্গার, স্যান্ডউইচের মত খাবার বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলেও ভাল ব্যবসা হবে। খাবার সুস্বাদু হলে গ্রাহকের অভাব হবে না।