শিবরাত্রিতে রাতভর উপোস করে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রধানত ফলমূল কিংবা মহাদেবের ভোগের প্রসাদ দিয়ে উপোস ভাঙ্গেন। তবে একটা গোটা দিন উপোস করে থাকার পর খালি পেটে ফল বা অন্যান্য খাবার খাওয়ার তুলনায় খেতে পারেন সাবুর পায়েস। এটা পেটের জন্যও ভাল আবার তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাবে শরীরে। শিখে নিন সুস্বাদু সাবুর পায়েস রান্নার পদ্ধতি (Sabur Payes Recipe)।
নিরামিষ সাবুর পায়েস বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ : দিনভর উপোস করে ক্লান্ত শরীরে খুব বেশি কিছু রান্না করতে ইচ্ছে করে না আর। সেক্ষেত্রে সাবুর পায়েস আপনি মাত্র ১৫ মিনিটে এই করে নিতে পারবেন। পায়েস রান্নার জন্য প্রয়োজন হবে সাবু, গুঁড়ো দুধ, গরুর কাঁচা দুধ, ছোট এলাচ, ঘি, কাজু কিসমিস এবং চিনি।
সাবুর পায়েস বানানোর পদ্ধতি : প্রথমে সাবু কিনে এনে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তিন থেকে চার বার ভাল করে ধুয়ে নিয়ে এবার একটি বাটির মধ্যে জল নিয়ে তার মধ্যে সাবুর দানা ভিজিয়ে রাখুন। সাবু ভিজে ফুলে উঠলে তারপর হাতে টিপে দেখে নিন নরম হয়েছে কিনা। এবার হাতের সাহায্যে ভাল করে চেপে চেপে বাড়তি জল বের করে ঝরিয়ে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে এক চামচ ঘি গরম হতে দিন। ঘি গলে গেলে ও গরম হলে এরমধ্যে পরিমাণ মত কাজু ও কিসমিস দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে তুলে নিন। এবার আঁচ একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে। কম আঁচে সাবুদানাগুলো ঘিয়ের মধ্যে দিয়ে এক মিনিট মত নেড়েচেড়ে হালকা ভেজে নিন। এরপর এর মধ্যে দুধ ঢেলে দিন।
কড়াইতে যখন দুধ দেবেন তখন এর মধ্যে দুটো ছোট এলাচ ফাটিয়ে দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ফুটতে দিন। দুধ ফুটতে শুরু করলে ঘন করার জন্য এর মধ্যে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে দিন। সেই সঙ্গে পরিমাণ অনুসারে চিনি দিয়ে খুব ভাল করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। একেবারে রান্নার শেষের দিকে ভেজে রাখা কাজু ও কিসমিস কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে।
কাজু ও কিসমিস দেওয়ার পর আরও পাঁচ মিনিট রান্নাটা হতে দিতে হবে। এবার নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ ও সুস্বাদু সাবুর পায়েস। এটা শুধু শিবরাত্রি স্পেশাল নয়, আপনি চাইলে সকাল বিকেলে জলখাবার কিংবা স্কুলের বাচ্চাদের টিফিন হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন। বাচ্চা-বুড়ো সকলের জন্যই সাবুর পায়েস ভীষণ উপাদেয় একটি খাবার।