ভারতের ৫ ভূতুড়ে স্টেশন যেখানে অশরীরী হামলা চালায় যাত্রীদের ওপর 

স্টেশন মানে লোকে লোকারণ্য। ট্রেনের হুইসেল, মাইকে ঘোষণা, হকারের হাঁকডাকে সরগরম চত্বর। কিন্তু এসবের মাঝেও হানা দিয়ে যায় ভূত। যাত্রীদের ভয় দেখায়। আষাঢ়ে গল্প মনে হলেও ভারতে সত্যিই এমন অনেক রেল স্টেশন আছে যেখানে ভূতেরা আড্ডা জমায় বহাল তবিয়তে। যাত্রীদের দাঁতকপাটি লাগিয়ে চলতে থাকে অলৌকিক কাজকর্ম।
এখানে আমরা তেমনই ভারতের ৫ ভূতুড়ে স্টেশনের তালিকা তৈরি করেছি। কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে যাত্রীদের অভিযোগ, এই স্টেশনে ভূত আছে।

Source

১) বারগ স্টেশন

শিমলার বারগ রেলস্টেশন বারগ টানেলের সমান এই টানেল কর্নেল বারগ তৈরি করেছিলেন। বলা হয় যে এখানে একজন ইঞ্জিনিয়ার অন্য কর্মচারীদের সামনে অপমানিত হওয়ার পর আত্মহত্যা করে নেয়। যখন তিনি টানেল নিরীক্ষণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি নিজেকে গুলি মেরে নেন। পরে, তার শরীর সেই সুড়ঙ্গের কাছাকাছি সমাহিত করা হয়। বলা হয় যে এখনও তিনি সুড়ঙ্গের চারপাশে রয়েছেন।

Source

২) বেগুনকোদর স্টেশন

ভুতুড়ে বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত। গত ৪২ বছর ধরে স্টেশনটি বন্ধ।  স্থানীয় লোকজন মনে করেন, এই স্টেশনে যে যায় সে আর ফিরে আসে না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পুনরায় এই স্টেশন খোলার কথা ঘোষণা করেছেন। তা শুধু প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে।

শোনা যায়, একদিন মধ্যরাতে স্টেশন মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী খুন হন ওখানে। পরে স্টেশনের পাতকুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। সেই থেকেই নাকি অশরীরী কার্যকলাপের শুরু। রাতারাতি পালিয়ে গেলেন সব রেলকর্মী। বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন থামা। ধীরে ধীরে খণ্ডহরে পরিণত হল গোটা এলাকা। শুধু মূর্তিমান বিভীষিকার মত দাঁড়িয়ে রইল বড় পাকা স্টেশন বিল্ডিংটা। রাতে নাকি সেখানে খেলা করে নানা আলো। শোনা যায় আত্মাদের ফিসফাস।

৩) নেনি স্টেশন

উত্তরপ্রদেশের নেনী রেলওয়ে স্টেশনটিকে ভুতুড়ে বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে নেনী কারাগারের নিকটে অবস্হিত এই স্টেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা রয়েছে, কারাগারে যাদের মৃত্যু হয়েছিল

৪) চিত্তর রেলওয়ে স্টেশন

চিত্তর রেলওয়ে স্টেশন ন্যায়ের জন্য ঘুরতে থাকা সিআরপিএফ অফিসার হরি সিং এর আত্মার জন্য কুখ্যাত। ৩১ অক্টোবর কেরালা এক্সপ্রেসে এই আধিকারিককে হত্যা করা হয়েছিল। হরি সিংকে মারাত্মকভাবে মারধর করার পর চিত্তর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। বিশ্বাস, তারপর থেকে সত্য উদ্ঘাটন এবং আসল অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য মৃত হরি সিংয়ের আত্মা ঘুরে বেড়ায় এই স্টেশনে।

৫) লুধিয়ানা রেলওয়ে স্টেশন

এই স্টেশনের রিজার্ভেশন রুমে চাকরি করতেন সুভাষ নামে এক তরুণ। এই ঘরেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকে কেউ ওই ঘরের পাশ দিয়ে গেলে অশরীরী হামলা চালায়। কখনও চিমটি কাটে, কখনও পিঠে কিল। যেখানে বসে কাজ করতেন সেই চেয়ারেও সুভাষের আত্মা কাউকে বসতে দিতে নারাজ। দু-একবার বসতে গেলে ভুতের মার খেতে হয়েছে। সেই থেকে এই ঘর চিরদিনের জন্য বন্ধ।