সাত পাকে বাঁধা পরলো খড়ি ও ঋদ্ধিমান, রইলো বিয়ের ফটো অ্যালবাম

দ্যুতির বদলে মন্ডপে খড়ি! ঘোমটার আড়ালে বদলে গেল বউ, গল্পে নতুন মোড়

Gaurav tied Knot with Solanki in Gantchhora

স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক গাঁটছড়া (Gantchhora)। ধারাবাহিকের শিরোনাম, “সবই আছে আগে থেকে ঠিক করা, বাধা আছে যেন কোনও গাঁটছড়া”। ধারাবাহিকের নায়ক ঋদ্ধিমানের গাঁটছড়া যে দ্যুতির বদলে খড়ির সঙ্গেই বাঁধা আছে, তা কার্যত কারও জানা ছিল না আগে থেকে। তাই বিয়ের মন্ডপে যে বউ বদল হয়ে যেতে পারে, এমনটা আশা করেননি কেউই। তবে বিয়ের মন্ডপে গল্পের মোড় গেল ঘুরে। দুটো মানুষ যারা একে অপরকে সহ্য করতে পারে না, তারাই গাঁটছড়ায় বাঁধা পড়ল। এখান থেকেই শুরু হচ্ছে গল্পের আসল টুইস্ট।

বিয়ের আগে দ্যুতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে বর পৌঁছে গিয়েছে মণ্ডপে। এমতাবস্থায় পরিবারের মুখরক্ষা করতে ঘোমটার আড়ালে মুখ দেখে খড়িকেই বউয়ের সাজে ঋদ্ধিমানের পাশে এসে বসতে হয়। বিয়ের সমস্ত আচার-আচরণ পালন করতে হয় তাকেই। তবে সিঁদুর দানের আগেই বেঁকে বসে খড়ি। সে আর কোনও মিথ্যের সঙ্গ দেবে না, সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। তাই ঘোমটা সরিয়ে সে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে। এদিকে দ্যুতির বদলে খড়িকে দেখে হতবাক সকলে।

তবে পরিস্থিতি না বুঝেই খড়িকে ভুল বোঝে ঋদ্ধি। খড়ির প্রতি এমনিতেই বিরক্ত ঋদ্ধিমান। এখন বিয়ের আসলে দ্যুতির বদলে খড়িকে দেখে সে ভীষণ রেগে যায়। ধারাবাহিকের প্রোমোতে দেখানো হয়েছে শেষ মুহূর্তে খড়ি বিয়ে করতে রাজি হয় না। তবে সে বিয়ে ভেঙে দিতে চাইলেও ঋদ্ধিমান জোর করেই খড়ির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে। তার উদ্দেশ্য খড়ির জীবন এবার সে দুর্বিষহ করে তুলবে। তাহলে কি এবার সত্যিই ঋদ্ধিমান খড়ির জীবন অশান্তিতে ভরিয়ে তুলবে? বিনা দোষেই শাস্তি পাবে খড়ি? উত্তর মিলবে আগামী পর্বে।

উল্লেখ্য, ধারাবাহিক এবং চ্যানেলের তরফ থেকে গাঁটছড়া এবং আর্ট ফেস্টের উদ্যোগে বেহালা বাগানবাড়ি বস্তির দেওয়াল রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে বিয়ের বিভিন্ন চিত্র দ্বারা। এই পরিকল্পনা নিয়েছেন খড়ি ওরফে সোলাঙ্কি রায়। চ্যানেলের তরফ থেকে শেয়ার করে একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেল তিনি এবং বনি এক সময় ঘুরতে ঘুরতে এই বস্তিতে এসে পড়েন। বস্তির নোনাধরা দেওয়ালে এখানকার মানুষের কঠিন জীবনযাত্রার গল্প লেখা আছে। সেই দেওয়াল এবার নতুন রঙে রাঙিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

খড়ির উদ্যোগে এই বস্তিতে আসেন আর্ট ফেস্টের মানুষ এবং বিভিন্ন শিল্পী। সিমেন্ট, বালি, সাদা রংয়ের ব্যবহারে গ্রাফিতির সাজে সেজে উঠল গোটা বস্তি। পান পাতা, সানাই, বিয়ের বিভিন্ন রীতিনীতি যেমন সাতপাক, সিঁদুর দান, শুভদৃষ্টি, মালাবদলের ছবি এঁকে সাজিয়ে তোলা হলো এই নোনাধরা বস্তি।