করোনা টীকা নেওয়ার আগে জেনে নিন ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর

অবশেষে আশার আলো। আগামী তিনদিনেই জেলার হাসপাতালগুলিতে পৌঁছবে কভিশিল্ড (Covishield)। বর্তমানে ‘ইনসুলেটেড ভ্যানে’ করে তা পৌঁছেছে  বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে।আছে পুলিশি পাহারায়।শনিবার অর্থাৎ ১৬ই জানুয়ারি থেকেই রাজ্য জুড়ে টিকাকরণ এর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এই টীকা প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে।ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান কোভিড-১৯ হাসপাতালে কর্মরত সাস্থ্য কর্মীরা প্রথমে এই টীকা পাবেন। এই সংখ্যাটা রাজ্যে প্রায় ৬ লক্ষ। দ্রুত শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।রাজ্যে করোনা টীকা দেওয়ার সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

রাজ্যে প্রথম কোন টীকা এলো?

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University) ও অ্যাস্ট্রোজেনেকো (Astrogenco) সংস্থার কভিশিল্ড টীকা প্রথম রাজ্যে এলো।ভারতে এই টীকা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)। আপাতত কভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে এবং এখনও পরীক্ষা চলছে কোভ্যাক্সিনের।

কত টীকা আসছে?

প্রথমে রাজ্যে ৬৮,৯০০ ভায়াল আসছে। এর মাধ্যমে প্রথম পর্যায় ৬.৮৯ লক্ষ টিকা দেওয়া যাবে। প্রথমে এই টীকা দেওয়া হবে কোভিড ১৯ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।আপাতত ৯লক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে যাদের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশকর্মী,প্রশাসনিক কর্তারা আছেন।

পরবর্তী পর্যায়ে কাদের টীকা দেওয়া হবে?

দ্বিতীয় পর্যায়ে টীকা দেওয়া হবে পুলিশকর্মী দের। তৃতীয় পর্যায়ে টীকা পাবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। চতুর্থ পর্যায় ৫০ বা তাদের বেশী বয়সী ব্যাক্তিরা এবং ৫০ এর কম কিন্তু শরীরে কোনও গুরুতর রোগ অর্থাৎ কো মর্বিডিটি আছে তারা টীকা পাবেন।এরপর পঞ্চম পর্যায়ে সাধারণ মানুষ টিকা পাবেন।

করোনা আক্রান্ত হলে কী টীকা নিতে হবে?

হ্যা। অবশ্যই একবার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও টীকা নেওয়া দরকার।এই টীকা মানব শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।

কীভাবে টীকা দেওয়া হবে?

দুটি ডোজে টীকা দেওয়া হবে। একটি ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ১৪ দিন পর এই টীকা মানব শরীরে কার্যকর হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য ব্যাক্তির মোবাইলে দিনক্ষণ পৌঁছে যাবে। সেই মতন পরীক্ষা কেন্দ্রে টীকা নিতে যেতে হবে।

টীকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্তকরন কোথায় করতে হবে?

বর্তমানে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই নাম নথিভুক্ত করার কাজ করবেন। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হবে তাকে কোথায় কখন টিকা দেওয়া হবে। যদি কোনও ব্যাক্তি টিকা নিতে না চান তাহলে তিনি নাও নিতে পারেন।

করোনা টিকা নিতে হাসপাতালে গেলে কি কি মানতে হবে?

ব্যাক্তিকে অবশ্যই সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে। এরপর কো উইন রিয়াল টাইম অ্যাপলিকেশনে তার নাম এবং মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করা হবে। এরপরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার পর তাকে টীকা দেওয়া হবে। চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় সাধারণ মানুষের কোভিশিল্ড পাওয়ার আগেই বাজারে অন্যান্য টীকা চলে আসার সম্ভাবনা আছে। জানা যাচ্ছে এখনও এই বিষয় সরকারি স্তরে কথোপকথন চলছে