শুধু বাংলায় না, পুরো ভারতে এই পৌষ সংক্রান্তির দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য আছে।জ্যোতিষের ভাষায় এইদিন সূর্যের দক্ষিনায়ন ঘটে, সূর্য প্রবেশ করে মকর রশিতে। কোথাও এই দিনটি উদযাপন করা হয় ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবের মধ্য দিয়ে আবার কোথাও নির্দিষ্ট কিছু সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে।
বাঙালিরাও নিজের নিয়মে পালন করে নেয় এই দিনটা। বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠে তৈরির উৎসব। গঙ্গার নানান ঘাটে, তো কোথাও সমুদ্রে মানুষ ভিড় জমায় পূণ্য স্নানের উদ্যেশ্যে। অনেকের বাড়িতে এই দিনটা শুরু হয় ভগবানের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদনের মধ্যে দিয়ে। এক কথায় নানান স্থানে নানান ভাবে উদযাপিত হয় এই দিনটি। এইদিন বাঙালি মহিলারা কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করেন, এবং কিছু বিশেষ বিশ্বাস আছে তাদের মনে। দেখে নাওয়া যাক সেগুলি কী কী
এইদিন বাড়ির মহিলারা সবার প্রথমে ভোগ নিবেদন করেন ঠাকুরের উদ্দেশ্যে। এই দিন সবার প্রথম ঠাকুরের উদ্দেশ্যে ভোগ দাওয়া কে শুভ মনে করেন অনেকে। তাই ঠাকুরকে খেতে না দিয়ে অন্য কাউকে কিছু খেতে দেবেন না। এইদিন সাধারণত বাঙালি বাড়িতে রান্না হয় নিরামিষ। তাই এই দিনটিতে বাড়িতে আমিষ কিছু রান্না করবেন না। যতটা সম্ভব নিরামিষ রান্না করতে হবে।
এই বিশেষ দিনে পরিবারের সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকেন। এই দিনে পরিবারের মধ্যে কলহ কে অনেকেই অশুভ মনে করেন। তাই ভুল করেও কাউকে দুঃখ দেবেন না কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। এই দিন বাড়ির মানুষ বাড়ি থেকে দূরে কোথাও যাওয়া অশুভ বলে মনে করা হয়। যদি বাড়ির কেউ বাইরে থাকে, তা হলে এই দিন বাড়ি ফিরে আসাই শুভ।
আরও পড়ুন : মকর সংক্রান্তির দিন কী করবেন আর কী ভুলেও করবেন না
এইদিন যদি বাড়িতে কোনো ভিক্ষুক বা গরীব মানুষ আসেন তবে তাকে কিছু না কিছু দান করার নিয়ম আছে। তাই আপনার বাড়িতে আজ যদি কোনও ভিখারী আসে তবে তাকে খালি হাতে ফেরাবেন না। কিছু না কিছু তাকে দান করার চেষ্টা করবেন।