‘ডেলিভারি বয়’-র চাকরি পেয়েছে বাবা, ছোট্ট মেয়ের উচ্ছ্বাস দেখে আবেগে ভাসছে নেটপাড়া, ভাইরাল ভিডিও

কেউ রাজপ্রাসাদে থেকেও সুখী নয়, কেউ আবার মাটির ঘরেও গড়ে তোলেন সুখের রাজপ্রাসাদ। তবে ছোট্ট শিশুরা সমাজের অত আদব-কায়দা বোঝে না। বাবা-মা যেমন সন্তানের সাফল্যের গর্ববোধ করেন, তেমনই সন্তানরাও বাবার সাফল্যে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ধরা পড়লো তেমনই একটি ভিডিও। এই ভিডিও দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। ততোধিক খুশিও হয়েছেন তারা।

বাবা একটি অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী (Swiggy delivery boy job) সংস্থায় ডেলিভারি বয় এর চাকরি পেয়েছেন। আর তাতেই ছোট্ট মেয়ের আনন্দের সীমা নেই কোনও। এই খবর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ওই ভিডিওতে মেয়েটির উচ্ছ্বাস সাফ নজরে পড়েছে। তাতে খাদ নেই এতটুকু। বাবা-মেয়ের (Father and daughter sweet video) এমন মিষ্টি একটি ভিডিও দেখে নেটিজেনদের মনও গলে গিয়েছে।

আসলে ওই ব্যক্তি অনেকদিন ধরেই চাকরির চেষ্টা করছিলেন। বাড়িতে তিনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং মেয়ে থাকেন। অভাবের সংসার তাদের। সংসারের হাল ফেরাতে কাজের জন্য অনেক চেষ্টা করেও তিনি পাচ্ছিলেন না তেমন কোন কাজ। অবশেষে তাকে কাজের সুযোগ দিয়েছে সুইগী। সুইগীতে ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরির সঙ্গে তিনি পেয়ে গিয়েছেন ডেলিভারি বয়দের একটি পোশাক। সেটা শরীরে ছুঁইয়ে তিনি মেয়েকে সুখবরটি দেন।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্কুল ড্রেস পরে একটি কিশোরী মেয়ে চোখ বন্ধ করে বাবার সারপ্রাইজের জন্য অপেক্ষা করছে। এরপর চোখ খুলতেই সে বাবাকে তার সামনে দেখে। সুইগীর দেওয়া ডেলিভারি বয়ের পোশাক গায়ে জড়িয়ে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মেয়ের সামনে। চোখ খুলতেই খুশিতে ফেটে পড়ে মেয়ে। আনন্দে লাফালাফি করতে শুরু করে দেয় সে।

আনন্দে নাচতে নাচতে ঘরের মধ্যেই ছোটাছুটি করতে শুরু করে দেয় মেয়েটি। যেন তার বাবা তাকে হাতে চাঁদ এনে দিয়েছেন। মেয়েকে এত খুশি দেখে বাবাও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। অপলক দৃষ্টিতে তিনি মেয়ের দিকে চেয়ে রয়েছেন। তাকে এত খুশি দেখে তিনিও অবাক। এই দৃশ্য দেখলে যে কারও চোখে জল আসতে বাধ্য। স্বামী এবং মেয়ের এই মিষ্টি ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন ওই ব্যক্তির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভিডিও দেখে কেউ লিখছেন, “যাদের সংসারে টানাহেঁচড়া আছে, একমাত্র তাড়াই বুঝবে যে, একটা নরমাল চাকুরীও ওদের জন্য অবশ্যই সোনার হরিণ। স্যালুট রইল”। কেউ লিখছেন, “কাজ ছোটো হয়না। কোনো একটি ছোটো কাজই হয়তো, একটি স্বল্প চাহিদা সম্পূর্ণ পরিবাবের সুখের কারণ ভালো থাকুক এমন পরিবার গুলি।”