‘এক জীবনে এত প্রেম’ অ্যালবামের নায়িকা আজ কোথায়, দেখুন বং ক্রাশের বর্তমান চেহারা

কিছু কিছু গান বছরের পর বছর ধরে শ্রোতাদের মনের মধ্যে গেঁথে থেকে যায়। বাংলার এমনই একটি গান ছিল ‘এক জীবনে এত প্রেম’ (Ek Jibone Eto Prem)। না, এটা কোনও নামিদামি ছবির গান ছিল না। এটা ছিল একটা অ্যালবামের গান যা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) শ্রোতাদের একাত্ম করে দিয়েছিল। এই রোমান্টিক গান প্রেমিক-প্রেমিকাদের মনের মধ্যে রোম্যান্সের ঝড় বইয়ে দিয়েছিল। গানের কথা, সুর এবং গানের মধ্যে দেখানো ভালোবাসার গল্প ছুঁয়ে গিয়েছিল উঠতি বয়সের প্রেমিক-প্রেমিকাদের।

আজ থেকে এক দশক আগে এখনকার মত স্মার্টফোনের চল ছিল না। তখন ভরসা বলতে রেডিও আর তা না হলে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে গান শুনতে হতো। এই গানটি গেয়েছিলেন শহীদ এবং শুভমিতা ব্যানার্জি। এই গান এত বেশি ভাইরাল হওয়ার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিলেন অ্যালবামের নায়িকা। সুন্দরী এই বাংলাদেশি নায়িকাকে এক লহমাতেই ভালবেসে ফেলেছিলেন সকলে। নাম ছিল তার শায়না আমিন (Shaina Amin)।

তার জন্ম হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। বাবা-মা দুজনেই ছিলেন বাংলাদেশি। তবে অভিনেত্রীর জন্ম হয়েছিল সৌদি আরবের মক্কাতে। তাই জন্মসূত্রের নিরিখে সৌদি আরবিয়ান সুন্দরী বলা যায় তাকে। তার বয়স যখন ১.৫ বছর তখন বাংলাদেশে চলে আসে তার পরিবার। এরপর বাংলাদেশেই বেড়ে উঠেছেন শায়না। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ এবং অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়।

শায়নার বয়স যখন মাত্র ২১ বছর তখন তিনি ছোট পর্দায় অভিনয়ের মারফত নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর ‘এক জীবনে এত প্রেম’ অ্যালবাম রিলিজ হয়। এই গানের মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয় হন অভিনেত্রী। আজও এই গান এবং গানের সুন্দরী নায়িকার জনপ্রিয়তা রয়েছে শ্রোতাদের মাঝে। এরপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি নায়িকার। এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও কোথায় হারিয়ে গেলেন শায়না? এখন কিভাবে কাটছে তার দিন?

সায়না কিন্তু এখন বাংলাদেশে নেই। ২০১১ সালে বিদেশি প্রেমিককে বিয়ে করে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন নায়িকা। ২০১৫ সালে তিনি প্রথমবার মা হন, জন্ম দেন এক কন্যাসন্তানের। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার বয়স ৩৭ বছর। কিন্তু অভিনেত্রীকে দেখলে তার বয়সের আন্দাজ করা মুশকিল। কারণ আজও সেই আগের মতই সুন্দরী রয়েছেন শায়না। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বেশ সক্রিয় থাকেন। প্রতিনিয়ত নিজের ছবি শেয়ার করেন তিনি। আপাতত এভাবেই ভক্তদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখে চলেছেন শায়না।