আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরেই দুর্গাপূজা। করোনার এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজার সম্পন্ন করা যায় সরকারের কাছে এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। করোনা আবহে কিভাবে দুর্গাপুজোর সম্পন্ন করা যাবে সেই নিয়ে সেই নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার।
দুর্গা পূজোয় কি কি করা যাবে, কি করা যাবেনা, সংক্রমণ ঠেকাতে কি কি মেনে চলা উচিত সেই নিয়ে ১১ দফা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হলো। এই গাইডলাইনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুজো থেকে অঞ্জলি, বিসর্জন সব ক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে কি কি মেনে চলা উচিত।
খোলামেলা প্যান্ডেল
পুজো কমিটিগুলোকে খোলামেলা প্যান্ডেল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিলিংয়ের ব্যবস্থা রেখে চারদিক খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চারদিকে দেওয়ালের ব্যবস্থা করা হলে সিলিং খুলে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে এমনটা জানানো হয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব
প্যান্ডেল প্রবেশ এবং বাইরে বের হওয়ার জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্যান্ডেলের ভিতরে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। প্রয়োজনে গোল দাগ কাটতে হবে।
মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার
দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। দর্শনার্থী মাস্ক না পরে এলে দর্শনার্থীকে প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষেকে মাস্ক দিতে হবে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্যান্ডেল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা স্যানিটাইজ করতে হবে।
অঞ্জলি ও সিন্দুর খেলা
অঞ্জলি থেকে শুরু করে সিন্দুর খেলা কোনভাবেই ভিড় করা যাবে না। পুরোহিত মাইকে মন্ত্র পড়বেন এবং দর্শনার্থীরা বাড়ি থেকে ফুল নিয়ে আসবেন।
পুজো মণ্ডপে ভিড়
পুজো মণ্ডপে বা আশেপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। সেরা পুজো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচারকরা সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মন্ডপ পরিদর্শন করতে পারবেন।
পুজোর বিসর্জন
পুজোর উদ্বোধন থেকে বিসর্জন সবকিছু করতে হবে হাতেগোনা লোক নিয়ে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিসর্জনেও ভিড় করা যাবে না।
অনলাইন অনুমোদন
পূজো সংক্রান্ত নানান অনুমোদন নিতে হবে অনলাইনে। ভিড় এড়াতে তৃতীয়ার দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য প্যান্ডেল দর্শনের সুযোগ করতে হবে।
পুজোয় ছাড়
এবছর পুজো কার্নিভাল করা হবে না। পুজো উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে দমকল বাহিনীর অনুমোদন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলে ৫০% ছাড় দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি পুজো উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অনুমোদন দেবে রাজ্য সরকার।