সিদ্ধার্থের নাক টেনে ধরা! সাঁড়াশি দিয়ে বড় জা’কে জব্দ করে দিল মিঠাই

মিঠাইকে (Mithai) মদ খাওয়ানোর ফল হাতেনাতে পেল ‘টেস বুড়ি’! মিঠাইয়ের হাতে একের পর এক মদের গ্লাস তুলে দিয়ে সকলের সামনে তাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু মদের ঘোরে মাতাল হয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য মিঠাই তার ‘বড় জা’ তোর্সার উপরেই চরম আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলো! রীতিমতো সাঁড়াশি হাতে নিয়ে তোর্সার দিকে ছুটে গেল মিঠাইরানী।

রান্নাঘরে সকলের অলক্ষ্যে মিঠাই যখন রান্নায় ব্যস্ত তখন তোর্সা এসে কথা বলতে বলতে তার গলায় মদ ঢেলে দেয়। এরপর একের পর এক মদের গ্লাসও তুলে দেয় মিঠাইয়ের হাতে। নেশা পেয়ে বসে মিঠাইকে। মদের ঘোরে সে অনেক অবাস্তব দৃশ্য দেখতে পায় চোখের সামনে। সে দেখে ‘বউদিমণি’ বলার জন্য তোর্সা সিদ্ধার্থের নাক সাঁড়াশি দিয়ে উপড়ে নিচ্ছে! মাথার মধ্যে এই সব কথা ঘুরপাক খেতে থাকলে সেই একই দৃশ্য চোখের সামনে দেখে সে তোর্সার উপর বেজায় রেগে যায়। তারপরেই সাঁড়াশি হাতে তুলে নিয়ে ‘বড় জা’কে আক্রমণ করে বসে মিঠাই।

মিঠাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে সারা বাড়িজুড়ে দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করে দেয় তোর্সা। সিদ্ধার্থ আর সোম তোর্সাকে মিঠাইয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পেছনে পেছনে দৌড়াতে থাকে। কান্ড দেখে হতবাক হল্লা পার্টি। উপায়ান্তর না দেখে মিঠাইকে ঠান্ডা করতে শেষমেষ তার দিকে এক বালতি জল ঢেলে দেয় সিদ্ধার্থ। মদের ঘোরে ততক্ষণে ঘুমিয়ে পরে মিঠাই।

পরদিন সকালে উঠলেও তার কিছু মনে থাকে না। তবে মিঠাইয়ের কান্ডে সিদ্ধার্থ তার উপর ভীষণ রেগে যায়। ‘উচ্ছে বাবু’র সঙ্গে কথা বলে তার মেজাজ টের পেয়ে সে গত রাতের পরিস্থিতির গভীরতা বুঝতে পারে। অফিসের কলিগদের সামনে সিদ্ধার্থের মাথা হেঁট হয়েছে মিঠাইয়ের কান্ডে। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না সিদ্ধার্থ। মিঠাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে মদ খাওয়ানো হয়েছিল, তবে ‘উচ্ছে বাবু’ কোনও বাহানা মানতে নারাজ।

সিদ্ধার্থের এক কথা, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তোর্সার সঙ্গে কেন প্র্যাঙ্ক করলো মিঠাই! সিদ্ধার্থের কাছে বকা খেয়ে মিঠাই কেঁদে ফেলে। যদিও তোর্সা কিছু বলতে এলে সিদ্ধার্থ অবশ্য মিঠাইয়ের পক্ষই নেয়। সে তোর্সাকে স্পষ্টভাবে বলে, “তুই প্ররোচণা না দিলে মিঠাই কোনদিনও এই কাজটা করতো না। মিঠাইয়ের কম দোষ নেই, তবে তুই ওকে প্রোভোক করেছিস”। যদিও মিঠাইয়ের উপর চেঁচামেচি করাতে সিদ্ধার্থের উপর ভীষণ রেগে যায় তার বাবা। আপাতত পরিবারের ড্যামেজ কন্ট্রোলের ভার গিয়েছে দাদাইয়ের হাতে।